৯৩ হাজারের চেকে ৫ লাখ বেশি উত্তোলনের চেষ্টা প্রধান শিক্ষকের!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০২ PM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩০ PM
রাজশাহীতে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংকের কেশরহাট বাজার শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গেলে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে।
অভিযুক্ত কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে স্কুল কমিটির সভাপতির দাবি, ৯৩ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য তিনি চেকে সাক্ষর করেছিলেন। পরে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম আরও ৫ লাখ টাকা যোগ করে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন।
তবে স্কুল কমিটির সভাপতির এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, টাকা উত্তোলনের সকল জায়গাতেই ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা লেখা রয়েছে। সভাপতি সাহেব সবখানে সাক্ষরও করেছেন। এখন তিনি অস্বীকার করছেন।
কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিক বলেন, প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তার দোকানের এক কর্মচারীকে টাকা উত্তোলনের জন্য রোববার দুপুরে ব্যাংকে পাঠান। এরপর ব্যাংক থেকে আমাকে ফোন করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। ব্যাংক থেকে আমাকে জানানো হয় আমার ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। আমি জানাই শুধু ৯৩ হাজার টাকার চেকে স্বাক্ষর করেছি। এর পরই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই চেক আটকে দেয়। দ্রুত আমি ব্যাংকে যাই। আমি তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককেও ব্যাংকে আসতে বলি।
সভাপতি আরও বলেন, আমি জানতাম ব্যাংকে মোট ৯৪ হাজার টাকা আছে। তবে ছুটির মধ্যে ব্যাংকে আরও ৫ লাখ টাকা অনুদান জমা হয়েছে। এ টাকা সরাতেই প্রধান শিক্ষক এভাবে চেক জালিয়াতি করতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আপাতত চেকটি ব্যাংকেই ম্যানেজারের কাছে আছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে আমি ক্ষমা করবো না। আমি মামলা করবো।
এদিকে প্রধান শিক্ষক ব্যাংকে উপস্থিত হলে সভাপতির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে ঘুষিও মারেন সভাপতি। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের শান্ত করেন।
অগ্রণী ব্যাংক কেশরহাট শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান খান বলেন, ‘চেকটির মুড়িতে ৯৩ হাজার টাকা লেখা ছিল। তবে মেইন চেকে ৫ লাখ ৯৩ হাজার লেখা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা স্কুলের সভাপতিকে ফোন দেই।
‘দুই পক্ষ আসার পর থেকেই আমরা এটি নিয়ে সমাধানের জন্য বলেছি। এ বিষয়ে আমরা একটি চিঠিও দিয়েছি। তবে সমাধান না হাওয়া পর্যন্ত সবাই চেকটি আমাদের হেফাজতেই রাখতে বলেছেন। এজন্য চেকটি আমাদের হেফাজতেই রাখা হয়েছে।’