অপরাধী যেই হোক শাস্তি ভোগ করতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৫ PM , আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৫ PM
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। কেউ ভুলভ্রান্তি করলে তাঁকে আইন অনুযায়ী শাস্তিভোগ করতেই হবে। জনপ্রতিনিধি বা পুলিশ, সে যে–ই হোক না কেন, তাঁকে আইনের আওতায় আসতে হবে। সেখানে আমাদের কোনো ছাড় নেই।’
আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত নবনির্মিত বিকেএমইএর (বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন) নতুন সাততলা ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমাদের দেশের আরেক প্রধানমন্ত্রী বিনা পয়সায় সাবমেরিন কেব্ল সংযোগ দিতে চাইলেও দেশের সব খবর ফাঁস হয়ে যাবে বলে তিনি সাবমেরিন সংযোগ নিলেন না। এটাকে আমরা মূর্খতা বলব না কী বলব, জানি না।’
তিনি আরো বলেন, অন্য ধর্মের প্রতি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অগাধ বিশ্বাস। সবাইকে তিনি আগলে রাখেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে। আমরা সেই জায়গায় রয়েছি। আমাদের অঙ্গীকার ছিল কাউকে গৃহহীন থাকতে দেবো না। আমরা গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছি। কাউকে না খেয়ে মরতে হবে না।
১৫ বছর আগে হতদরিদ্রের মিছিল ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে সবাই ঢাকা চলে আসতো। এখন কিন্তু দাওয়াত দিয়েও খাওয়ানো যায় না। আমরা যখন ক্ষমতায় আসছি তখন ২৮ পার্সেন্ট ছিল হতদরিদ্রের সংখ্যা। এখন ৫ পার্সেন্ট। ২০৪০ সালে আমরা জিরোতে নিয়ে আসবো এ আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা এগিয়ে যেতে হলে সবার সহযোগিতা লাগবে।
বিকেএমইএ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।
মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেন। আপনারা আয় না করলে আমরা আরও বেশি সমস্যায় পড়তাম। ব্যবসায়ীরা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। ব্যবসায়ীরা সবাই মিলে যদি প্রধানমন্ত্রীকে আবারও ক্ষমতায় আনতে পারি, তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে পারব।’
সেলিম ওসমান বলেন, শুধু নারায়ণগঞ্জের নিট সেক্টর থেকেই বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও সদস্যদের ৪৫ কোটি টাকায় বিকেএমইএর সাততলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছুর দরকার নেই। ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ব্যবসা করতে পারেন, সেই সহযোগিতা চান।