পরীক্ষার হলে বাড়তি সুবিধা দেওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের হট্টগোল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৯:১৩ PM , আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২১ PM
বগুড়ার শিবগঞ্জে পরীক্ষার হলে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ায় কেন্দ্রে হট্টগোল করেছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে মহাস্থান মাহি সাওয়ার ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা চলাকালীন অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া নিয়ে ৬ ও ৭ নং কক্ষে পরিদর্শকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় স্থানীয় পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা চলাকালীন ও পরিক্ষা শেষে তারা ওই কলেজের অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডির সদস্যসহ কিছু কক্ষ পরিদর্শকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
তবে মহাস্থান কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করেন, তার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন কক্ষ পরিদর্শক।
হট্টগোলের বিষয়টি নিশ্চিত করে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোকামতলা মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) মাহফুজ রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে পরীক্ষা শেষে স্থানীয় কিছু পরীক্ষার্থীরা বাহিরে অবস্থান নেয় এবং কক্ষ পরিদর্শকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরবর্তীতে ওই পরীক্ষার্থীরা মহাস্থান কলেজে এসে অধ্যক্ষের কাছে নালিশ দেয়। শেষে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত গড়ায়।
এ বিষয়ে মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা চলা অবস্থায় সুযোগ সুবিধা না দেয়ায় পরীক্ষা শেষে কক্ষ পরিদর্শকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে পরীক্ষার্থীরা। আমরা আগামী পরীক্ষার দিনগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা চাই।
জানতে চাইলে মহাস্থান মাহি সাওয়ার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ প্রামানিক বলেন, বর্তমানে কোনো কেন্দ্রেই পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করার প্রশ্নই আসে না। তারা আমার কলেজের পরীক্ষার্থীদের অযথা হয়রানি করার জন্য পরীক্ষার খাতা কেড়ে নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এ অভিযোগ করেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাসনিমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরিক্ষার্থী ও উভয় কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের আগামী পরীক্ষাগুলোয় শান্ত থাকতে বলেছি। আর ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত একজন পরিদর্শক থাকবে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোয়।