শিক্ষার্থীদের আনন্দচিত্তে শিখতে দিন, পরীক্ষার মুখোমুখি করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © সংগৃহীত

পরীক্ষা ভীতি দূর করতে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছেলে-মেয়ে স্কুল থেকে ফিরলে কত নম্বর পেয়েছ তা আর জিজ্ঞেস করবেন না বরং জিজ্ঞেস করুন, আজ নতুন কী কী শিখলে। তাদের (শিক্ষার্থী) আনন্দচিত্তে শিখতে দিন, প্রশ্ন বা পরীক্ষার মুখোমুখি করবেন না। 

রোববার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও আইটেসারেক্ট-এর উদ্যোগে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, জগতের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতেই হবে। সব রকমেরই মানুষ লাগবে। সেটা না হলে এই বিজ্ঞান প্রযুক্তির জগৎটা কীভাবে চলবে? আমাদের একটা জায়গায় গিয়ে থমকে যেতে হবে।

সরকার বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে মনোনিবেশ করেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এক সময় বিজ্ঞানের দিকে কোনো নজর ছিল না, বিজ্ঞান পড়ার শখ ছিল না। সবাই শুধু জিজ্ঞেস করে- কি পড়ছ বিবিএ, কি পড়বে এমবিএ? আমি একেবারেই বিবিএ-এমবিএকে মন্দ বলছি না। তবে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদিও বিজ্ঞান চর্চা ছিল, বিজ্ঞান পড়ানো হতো। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশেষভাবে বিজ্ঞানে উৎসাহী হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিলেন। তখন থেকে তিনি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারের ব্যাপারে মনোনিবেশ করলেন।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার অধীনে সরকার গঠন হলো, তখন আবার শিক্ষার দিকে নজর দেওয়া হলো। আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা ভিন্ন ধারায় চললাম। ৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত যে সরকার ছিল তখন সাবমেরিনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল। পরবর্তীতে তারা ভাবল এর মাধ্যমে সব তথ্য পাচার হয়ে যাবে। কি তথ্য ছিল আর কি পাচার হবে সে জন্য দেশের মানুষকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত করা হলো এবং আমরা অনেকদিন পিছিয়ে পড়লাম। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন স্বপ্ন হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি স্তম্ভের কথা বলেছেন- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ হবে। এসব আসলে করবে স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক হতে হলে আগে শিক্ষাটাকে স্মার্ট হতে হবে। সেই শিক্ষাটাকে স্মার্ট হতে হলে এবং জাতির পিতা যে স্বাধীন দেশের শিক্ষার কথা বলেছিলেন সেটা যদি করতে হয় তাহলে আমাদের ২০০ বছরের উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে চলবে না। সেজন্যেই আমরা শিক্ষার একটা রুপান্তর ঘটাব। এমনকি সারা পৃথিবীতেই রুপান্তরের কথা বলা হচ্ছে। সেজন্য আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম গ্রহণ করেছি।


সর্বশেষ সংবাদ