এবার আদানি থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ

  © সংগৃহীত

কয়লা সংকটের কারণে গত সোমবার (৪ জুন) ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পরেছে দেশের বিদ্যুৎ গ্রীডে। ফলে সারা দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমান বৃদ্ধি পয়েছে। পায়রার পর এবার ভারতের আদানির গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ বুধবার (৭ জুন) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ অংশে সঞ্চালন লাইনে সমস্যার কারনে বিকেল আড়াইটার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সমস্য সমাধান হলেই দ্রুতই আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানি গ্রুপ ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে রহনপুর পর্যন্ত আনতে ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০০ কেভির সঞ্চালন লাইন আছে। ওই লাইনে বিদ্যুৎ রহনপুর পর্যন্ত আনার পর তা বগুড়া হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালন করতে একই ক্ষমতার আরেকটি লাইন আছে।

ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কয়েক মাস ধরে গড়ে প্রায় ৭৫০–৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পেয়ে আসছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ।

পিডিবির জনসংযোগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ের কারণে রহনপুরে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মেরামতের সময় সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করে। যার ফেলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আজ রাত ১০-১১ টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ আবারও সচল করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগ।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ঢাকার লোডশেডিং প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বেড়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ডিপিডিসি ও ডেসকো। হঠাৎ করে জাতীয় গ্রিড থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে দেশের সব জায়গায়। 

পায়রা কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার বহু আগে থেকেই কয়লা সংকটের কারণে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রও খুবই কম উৎপাদন করছে। এর ফলে দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিং আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ