ঈদ যাত্রায় অজ্ঞান পার্টি থেকে সাবধান থাকতে যা যা করবেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫২ PM , আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০৫ PM

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরমধ্যেই সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। এছাড়াও ছোট-বড় প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। মহানগরবাসী এখন নাড়ির টানে প্রিয় জনদের সাথে ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফেরার প্রতুতিতে ব্যস্ত। এরমধ্যেই অনেকেই আপনজনদের জন্য কেনাকাটা করা জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়েছেন। তবে উৎসবমুখর এই সময় অনেকের মনেই থাকে একটি আতঙ্ক। যেন বাড়ি ফিরতে পড়তে না হয় অযাচিত বিপদে। এই আতংকের নাম অজ্ঞান পার্টি।
অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সাড়া বছরের তুলনায় এখন বেশি সক্রিয়। তারা সাধারণত ঈদ, পূজা বা জাতীয় কোন উৎসবকে কেন্দ্র করে তৎপর হয়ে ওঠে। প্রধান টার্গেট সাধারণ যাত্রী। এ পার্টির সদস্যরা টার্গেটকৃত ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমিয়ে যে কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় নেশা জাতীয় ট্যাবলেট। যাত্রী অচেতন হয়ে গেলে সর্বস্ব লুটে নিয়ে সুবিধামত স্থানে সটকে পড়ে। অনেকসময় এই সদস্যরা কাউকে অজ্ঞান করতে ব্যবহার করে ধুতরা ফুলের নির্যাস। তবে কখনও কখনও অতিরিক্ত নির্যাসের ফলে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
তবে এদেরকে ক্ষতি করা সুযোগ না দিলে অথবা তাদের খপ্পর থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সচেতনতা, আর সেজন্য সবাইকে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
১. সফরকালে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা না দেয়াই উত্তম।
২. আপনার পাশের সিটের যাত্রী আপনার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতে চাইবে এবং এক সময় নিচের থেকে খাবার কিনে সেও খাবে আপনাকেও খেতে বলবে। কিন্তু সেই খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।
৩. বাস কিংবা ট্রেন বিরতি নিলে সেইখানকার ফুটপাতে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৪. ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমান কারো কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি বাদ দেওয়াই ভাল।
৫. বাসে, ট্রেনে বা লঞ্চে ভ্রমণের সময় লজেন্স বা চকলেট, আইসক্রিম, সিগারেট জাতীয় কোন খাবার গ্রহণ করব না।
৬. আজকাল ডাবের ভিতরে আগে থেকেই সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ঔষধ মেশানো থাকতে পারে। তাই কখন কোথা হতে তৃষ্ণা নিবারণ করছি সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।
৭. প্রয়োজনে যাত্রাপথে হালকা নাস্তার জন্য বাড়ি থেকে সংগৃহীত খাবার বা পানীয় সঙ্গে রাখি অথবা স্থায়ী দোকান থেকে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করব।
৮. সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছথেকে কোন খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. যাত্রাপথে নগদ অর্থ বা যে কোন মূল্যবান দ্রব্য নিরাপদ হেফাজতে রাখব সবাই।
১০. ভ্রমণের সময় পরিচিত কাউকে সাথে রাখার চেষ্টা করব।
১১. সবশেষে যাত্রাপথে কোন ব্যক্তির আচার ব্যবহার সন্দেহজনক হলে নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করতে হবে।