দেশে কমেছে দরিদ্র-হতদরিদ্রের সংখ্যা

দেশে কমেছে দরিদ্র-হতদরিদ্রের সংখ্যা
দেশে কমেছে দরিদ্র-হতদরিদ্রের সংখ্যা   © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপের কারণে দেশে দরিদ্র ও হতদরিদ্রের সংখ্যা কমেছে। দেশে এখন দরিদ্র জনগোষ্ঠী ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া হতদরিদ্রের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। ২০১৬ সালের পরিসংখ্যানে দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ওই বছর হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে সাত বছরের ব্যবধানে দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী কমেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

বুধবার (১২ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে সরকারি সংস্থাটি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০২২’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এইচআইইএস-২০২২ এর কি ফাইন্ডিংসে দেখা যায়, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে দেশে দারিদ্র্য হ্রাসের এই চিত্র অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। দারিদ্র্যের হার বের করা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দারিদ্র্য পরিমাপ ও বিশ্লেষণে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশে দারিদ্র্য, আয়-ব্যয়, ভোগ সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদানের জন্য একটি স্বতন্ত্র জরিপ হলো এইচআইইএস। এটি আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, অভিবাসন এবং রেমিট্যান্স ইত্যাদি বিষয়েও তথ্য সরবরাহ করে। ২০২২ সালের জরিপের জন্য সারা বছরজুড়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সারা দেশের ৭২০টি নমুনা এলাকায় এই জরিপ পরিচালিত হয়। প্রতিটি নমুনা এলাকা থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২০টি করে মোট ১৪ হাজার ৪০০ খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

জরিপের প্রশ্নপত্রে মোট ১০টি সেকশন রয়েছে। এই ১০টি সেকশনের তথ্য সংগ্রহের জন্য একজন তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিটি খানায় ১০ বার ভিজিট করেন। হেইজ ২০২২ জরিপে ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সময়ে অর্থাৎ এক বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিজের দেহটাও দান করে গেছেন ডা. জাফরুল্লাহ

বিবিএস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দারিদ্র্য নিরসনে সরকারের বাস্তবসম্মত হস্তক্ষেপের ফলে দারিদ্র্য কমেছে। সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (এসএসপি) যেমন- বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য ভাতা, দরিদ্রদের জন্য আয়বর্ধক কর্মসূচি, আশ্রয়ণ প্রকল্প, কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি ইত্যাদি দারিদ্র্য কমাতে অবদান রেখেছে। ভবিষ্যতেও এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

২০৩১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশে পরিণত হয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!