পারিশ্রমিক ছাড়াই তারাবিহ পড়াচ্ছেন ১৭০০ হাফেজ

ফেনীর জামেয়া রশিদিয়া মাদ্রাসা
ফেনীর জামেয়া রশিদিয়া মাদ্রাসা  © সংগৃহীত

রমজানের রাতের নামাজ তারাবিহ। এ মাসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খতম তারাবিহ পড়া হয়। এটা রমজান ও তারাবিহ নামাজের একটি অনন্য বিশেষত্ব। কেননা এতে মুসল্লিদেরও কোরআন খতম হয়ে যায়। এবার দেশের বিভিন্ন জেলার ৮০০-এর বেশি মসজিদে ১৭০০ জন হাফেজ কোরআন বিনা পারিশ্রমে পড়াচ্ছেন খতম তারাবিহ।

যারা তারাবিহ নামাজ পড়ান তাদেরকে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে হাদিয়া বা উপঢৌকন দিয়ে থাকেন। কিন্তু ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগে প্রায় ৮০০ মসজিদে বিনা পারিশ্রমিকে ১৭০০ জন হাফেজে কোরআন দ্বারা তারাবিহ পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন ফেনীর জামেয়া রশিদিয়া মাদ্রাসা।

প্রতিবছরই এই উদ্যোগে নেওয়া হয়ে থাকে মাদ্রাসাটির পক্ষ থেকে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের শিক্ষার্থীদের একদম বিনা পারিশ্রমিকে সরবরাহ করে আসছেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এসব হাফেজের কেউ যদি তারাবি পড়িয়ে অর্থ গ্রহণ করেন তবে মাদ্রাসার নিয়মানুযায়ী তাদের জন্য রয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: হাফেজ তাকরীমকে সংবর্ধনা দিলো ধর্ম মন্ত্রণালয়

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফফি শহিদুল্লাহ বলেন, আমারা আমাদের ছাত্রদের হাফেজ সম্পন্ন করিয়ে রমজানে বিভিন্ন মসজিদে পাঠাই তারাবি নামাজ পড়াতে। এটা আমরা অনেক বছর আগ থেকে করে আসছি। আমাদের ছাত্ররা এতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তারা কোন ধরনের লোভ-লালসার মধ্যে নেই। এতে তাদের কুরআন চর্চাও মজবুত হয়, সোয়াবের পাল্লাও ভারী হয়।  

ফেনী জেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া রশিদিয়া। ১৯৯৪ সালে ফেনীর লস্করহাটে মুফতি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় এ মাদরাসা। ৭ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত ফেনীর লস্করহাটের এ মাদরাসার মোট ছাত্র সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫জন। আবাসিক ছাত্র সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। ২১ জন বাবুর্চি, ১৬ জন স্টাফসহ ১১৫ জন সুযোগ্য শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে এ মাদ্রাসাটি।


সর্বশেষ সংবাদ