জীবনে হারাম পয়সা খাইনি: তাকসিম এ খান

তাকসিম এ খান
তাকসিম এ খান   © ফাইল ফটো

জীবনে একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করেননি দাবি করে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, আমার যা উপর্জন তা সবার কাছে স্পষ্ট। আয়কর নথিতে আমার সব উপার্জনের তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এর বাইরে একটা টাকাও আমি অসৎভাবে আয় করেনি।

আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, গত সোমবার একটি দৈনিকে আমার নামে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এটা ডাহা মিথ্যা। এর কোনো সত্যতা নেই। ১৪টি নয়, শুধু একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে কেনা। বাকি কোনোটিই আমার বা পরিবারের কারও নয়।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও (বিএফআইইউ) গত ২৫ অগাস্ট তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি দেয়।

এর মধ্যেই দৈনিক সমকালে গত সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দিয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদনটি হাই কোর্টের নজরে আনলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ সোমবার তদন্তের আদেশ দেয়।

তাকসিম যুক্তরাষ্ট্রে দুর্নীতি করে বাড়ি করেছেন কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় ওই আদেশে।

তাকসিম এ খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি চাকরি করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বাড়ি ও অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে বলে যে খবর গণমাধ্যমে এসেছে, সেটা ‘স্টান্টবাজি’।

“আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে সুপ্রতিষ্ঠিত, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনায় খুব অসুবিধার কিছু নেই। আমার স্ত্রীর নামে ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকে বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট।… বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে এমন নানান রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এগুলো পুরোটাই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা ওয়াসা থেকে অনৈতিক সুবিধা পায়নি, বা পাচ্ছে না, তারাই মূলত এসব করিয়ে থাকে।”

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে তাকসিম বলেন, আমি সেখান (যুক্তরাষ্ট্র) থেকেই ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। এমন নয় যে এখানে চাকরি করে আমার সম্পদ ওখানে গড়েছি। আমার স্ত্রী সেখানে সরকারি চাকরি করে। আমার সন্তানও সেখানে খুব ভালোমানের চাকরি করে। আমি যে ইনকাম করি, তা থেকে ওদেরকে কিছুই দিতে হয় না। তারা ওখানে অনেক ভালো আছে; যে কারণে আমার স্ত্রীর নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে রিপোর্টে যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তা পুরোপুরি অসত্য।

“এরমধ্যে ৫টি বাসার যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেগুলোতে আমার পরিবার বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছে। কিন্তু মিথ্যা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দেওয়া হলো। আমার ছেলেও একসময় সেখানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল, কিন্তু তা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে অভিভাবক হিসেবে আমার নাম আছে। এই নামগুলো ইন্টারনেট থেকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে।”

সমকালের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য তালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence