জাল সনদে চাকরি, রামেবি ভিসির পিএস বরখাস্ত

ইসমাঈল হোসেন
ইসমাঈল হোসেন  © সংগৃহীত

জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ভিসির পিএস ইসমাঈল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

তদন্ত কমিটির ৩ সদস্য হলেন- বিশ্ববিদ্যলয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সচিব মল্লিকা খাতুন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) অধ্যক্ষ ডা. মো. নওশাদ আলী। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ২০ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জানা যায়, চাকরি গ্রহণের সময় ইসমাঈল হোসেন প্রথমে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট দেন। পরে তার সেই সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। 

রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এজেডএম মোস্তাক হোসেন তুহিন বলেন, জাল সনদে চাকরির অভিযোগে সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে সনদ জালের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল কবির বলেন, সিন্ডিকেট কমিটির অনুমোদন ছাড়াই ভিসি ইসমাঈল হোসেনের জাল সনদের বিয়ষটি তদন্তে কমিটি গঠন করেন। কিন্তু ওই কমিটি ইসমাঈলের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে।

তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেটের ১৩তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইমাঈল হোসেনের নিয়োগের বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যতদিন তদন্ত কার্যক্রম চলবে ততদিন তিনি সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। গত ২০ আগস্ট থেকে বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হয়েছে। বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

এ বিষয়েঅভিযুক্ত ইসমাঈল হোসেন বলেন, কিছু অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি চক্রান্তের শিকার। আমার সনদ জাল নয়।


সর্বশেষ সংবাদ