রাজশাহী মেডিকেলে ইন্টার্নদের ধর্মঘট চলছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৭ AM , আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৭ AM
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে হামলার ঘটনায় দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি চলছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে রামেকের এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রামেক কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জরুরি সভা ডাকে সমস্যার সমাধানে। এদিকে, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে আছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যায় আছি। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ চিকিৎসা দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, রাবি ছাত্ররা শুধুমাত্র আন্দোলনই করেনি, তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে ডাক্তারদের খুঁজে বের করেছে। এই ঘটনায় পালিয়ে যায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রামেকে ২৮০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক আছে। তারা এখন কর্মবিরতিতে। তাহলেই বুঝতে পারছেন কী অবস্থা হচ্ছে। তারা আমাদের মেরুদণ্ড। এখন আমাদের সিনিয়র ডাক্তারদের দিয়েই চিকিৎসা চলছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে কাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমাদের ওয়ার্ডগুলোতে প্রচুর রোগী আছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ছাড়া আমরা হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা চালাতে পারবো না।
আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রের মৃত্যু: রামেক চত্বরে আন্দোলন
চিকিৎসকের অবহেলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় লাঞ্ছিত হন বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এসময় চিকিৎসকদের হামলায় আহত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত, রাত ১২টার দিকে আলোচনায় বসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ আলোচনা শেষে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করে ছাত্ররা রাবিতে ফিরে গেলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এখনো কাজে যোগ দেননি।
রামেক হাসপাতাল চত্বরে রাবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো। সেখানে একপাশে রাবি শিক্ষার্থী ও অন্যপাশে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। আর মাঝে অবস্থান নেয় পুলিশ। দুপক্ষের স্লোগানে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এতে হাসপাতালের রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এর আগে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রসঙ্গত, রাবির হাবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে আহত এক শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। ওই শিক্ষার্থী ঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা পাননি বলে অভিযোগ রাবি শিক্ষার্থীদের।