ডেইলি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রকাশের পর দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার শুরু

খাল খনন করা হচ্ছে
খাল খনন করা হচ্ছে

পিরোজপুর পৌরসভার ৪২টি খাল প্রায় সকল খাল অবৈধ দখলদারদের কবলে এই শিরোনামে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে খাল খনন শুরু হয়। 

আজ শুক্রবার (২ মে) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তায় শুরু হয় খাল খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম।

‎পিরোজপুর পৌর শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলা ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও গড়ে প্রায় ২০ থেকে ২২ ফুট প্রস্থের এ খালের দুই পাশ জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। ফলে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল এবং এলাকায় বিভিন্ন সময় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছিল। বর্তমানে এই উদ্যোগের ফলে, এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং খালটি তার পূর্বের রূপ ফিরে পাচ্ছে।

‎উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে খালের দুই পাশের বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা ও গাছ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু পাকা স্থাপনাও রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


91250fbf-c5a8-4e8b-9f6e-b79b1999cfe5

বাবুই সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হাছিবুর রহমান হাছিব বলেন, ‘এই খালটি সংস্কার কার্যক্রম আগেও শুরু হয়েছিল; কিন্তু শুধুমাত্র উপর থেকে একটি লেয়ার সরানো হয়েছিল। যার ফলে খালটি পুনরায় তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। আমরা আশা করি, এখন এই সংস্কারের ফলে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও কমে আসবে। এই সংস্কার কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করার জন্য খালের ভিতরের সকল পাইপ এবং পানি প্রবাহ বাধা প্রদানকারী বস্তু অপসারণ করে দুই পাড়ে একটি পাইলিং করে দিলে খালটি তার স্বমহিমায় থাকবে। জেলা প্রশাসনকে এই উদ্যোগের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।’

বিডি ক্লিন পিরোজপুর টিম প্রতিনিধি সায়লা আফরোজ বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এ ভাড়ানি খালটিকে সংস্কার ও পুনঃখনন করার ব্যাপারে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসক যে উদ্যোগ নিয়েছে এবং পিরোজপুরের সাধারণ নাগরিকদের এই কাজে সম্পৃক্ত করেছে সেটিকে সাধুবাদ জানানোর দাবি রাখে।’

‎পরিবেশবাদীরা বলছেন, এই খাল শুধুমাত্র পানি প্রবাহের জন্য নয়, বরং শহরের পরিবেশ সুরক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা খালের পাড় দখলমুক্ত রেখে সবুজায়নের দাবি জানান।

‎এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘পিরোজপুর পৌরবাসীর প্রাণের দাবি ছিল এই খালটি খনন করা এবং দখলমুক্ত করা। এই খালের যে দূষণ এবং দখল ছিল তার জন্য পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। স্থানীয়রা আমাকে বলেছে একসময় এখানে এই খালের বেশ প্রভাব ছিল। আমরা খালটি খননের কার্যক্রম শুরু করেছি। ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটি আমরা খনন করছি। আশা করি খালের দু’পাশের এলাকাবাসী এ কাজে আমাদের সহায়তা করবে।’


সর্বশেষ সংবাদ