শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  © প্রতীকী ছবি

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার সুযোগে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর এবং মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

আজ রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এই তথ্য জানান।

নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখছি দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই সুযোগে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের বিনোদন, পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব কারণেই কিন্তু সংক্রমণ থামানো যাচ্ছে না, দিনদিন বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে, পুরো বাংলাদেশে গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব ছিলো প্রবল, কিন্তু সেই সময়ে প্রভাব বেশি থাকা সত্ত্বেও শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার এবং মোট রোগীর সংখ্যা কম ছিলো। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষ এবং জানুয়ারির শুরু থেকে আমরা দেখেছি কীভাবে ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে কোনোক্রমেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।

অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়েছে। আমরা যদি মৃত্যুর সংখ্যাটি দেখি, তাহলে দেখা যায় ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩/৪ জনে ছিলো। এখন মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে প্রতিদিন গড়ে ২০/২৫ জন মারা যাচ্ছে। কাজেই আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের হার যেমনটি বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের টিকা কর্মসূচিও বেগবান হয়েছে। যারা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এবং বুস্টার ডোজের জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন, এমনকি যারা টিকার বার্তাও পেয়েছেন কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে টিকা নিতে পারেননি, তারা সুস্থ হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence