জেনে নিন ওমিক্রনের ১৩ লক্ষণ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৪৭ PM , আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৫৩ PM
বিশ্বজুড়ে ত্রাস তৈরি করেছে করোনার ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিভিন্ন গবেষণাও শুরু হয়ে গিয়েছে। শরীরে ওমিক্রনই বাসা বেঁধেছে কী না, তা কীভাবে বোঝা যাবে? এর উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎকরা। ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে ওমিক্রনের ১৩টি লক্ষণের কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের জো কোভিড সিম্পটম স্টাডি।
আরও পড়ুন: ২৩৯ জনকে নিয়োগ দেবে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওমিক্রনে আক্রান্ত ৬৮ শতাংশের মাথাব্যথা, ৪৪ শতাংশের খুব কাশি, ২৮ শতাংশের মাথা ঝিমঝিম, ২৯ শতাংশের জ্বর, ৬৪ শতাংশের নাছোড় ক্লান্তি, ২৪ শতাংশের স্মৃতিভ্রম, ২৩ শতাংশের পেশিতে ব্যথা, ১৯ শতাংশের বুকে ব্যথা, ৪৪ শতাংশের নাক দিয়ে পানি পড়া, ৬০ শতাংশের হাঁচি, ২৪ শতাংশের গন্ধের অনুভূতি কম, ৩৪ শতাংশের গলা ভাঙা ও ৩০ শতাংশের কাঁপুনি লক্ষণ রয়েছে।
এদিকে ওমিক্রনরোধে নতুন ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে হাসপাতালসহ সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ গাইডলাইন পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ধাপে ধাপে বাড়াতে পারে
নাজমুল ইসলাম বলেন, ওমিক্রন রোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে এবং সেটি চূড়ান্তও হয়ে গেছে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই যে সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালগুলো আছে, সবগুলোতে গাইডলাইনটি পাঠানো হয়েছে। ওমিক্রন নিয়ে নতুন নতুন যেসব তথ্য রয়েছে, সেগুলোর আলোকেই গাইড লাইনটি সাজানো হয়েছে। রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই হলো করোনা সংক্রমণ রোধের বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক পন্থা। এজন্য আমাদের সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে ও টিকা নিতে হবে।
অন্যদিকে, চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় সোয়া ৩২ লাখে।