‘সঠিক সমালোচনা করুন, জবাবদিহি করব, গুজব ছড়াইয়েন না’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব  © সংগৃহীত

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে ভ্রমণসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। একই সঙ্গে তিনি জবাবদিহির জন্য প্রস্তুত রয়েছেন জানিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ফেসবুক নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেছেন।

পোস্টে ফয়েজ আহমদ লেখেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে অনৈতিক ভ্রমণ হয়নি নাহিদ ইসলাম কিংবা আমার সময়ে। সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের কাছে বিদেশ ভ্রমণের ডজন ডজন অনুরোধ এসেছিল, উনি একবারের জন্যও বিদেশ ভ্রমণ করেননি। সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসের একমাত্র মন্ত্রী, যিনি বিদেশ ভ্রমণ করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৫ মার্চ থেকে দায়িত্ব পালন করছি। আমার সময়ও অনৈতিক বিদেশ ভ্রমণ হচ্ছে না, নিজেও বিদেশ ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করছি। নিজের স্বল্প সময়ে চারটি বিদেশ ভ্রমণ প্রস্তাবনা ডিক্লাইন করেছি। সচিব পর্যায়ের একটি চার দিনের দরকারি ভ্রমণকে কেটে দুই দিনে এনেছি, এ রকমও হয়েছে।’

‘নাহিদ ইসলামের সময়ে আমার কাছে অনেকেই ভ্রমণের ইনভাইটেশন লেটার নিয়ে আসত। একবার একজনকে বলেছি, আমাদের বস বিদেশ ভ্রমণ করেন না, আমাদের বিদেশ ভ্রমণের অতি আগ্রহ লজ্জার।’

‘বটম লাইন হচ্ছে, নাহিদ ইসলাম কিংবা আমার সময়ে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণ হয়নি। কয়েকটি ভ্রমণ হয়েছে, সেখানে আন্তর্জাতিক কনভেনশন,  বাণিজ্য সংস্থাগুলো মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধি চেয়েছে এবং তারাই খরচ বহন করেছিল।’

‘একটি কনভেনশনে যাবার জন্য অনেকবার রিকোয়েস্ট এসেছিল আমার কাছে, যাইনি। সে জন্য দেশটির সাথে আইসিটি খাত সংক্রান্ত সম্পর্ক খারাপ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে ভেবে ওই দেশটিতে দুই দিনের একটি কারিগরি এক্সচেঞ্জ রিলেটেড সফরের চিন্তা আছে। তাদের খরচেই।’

‘তবে ঠিকাদারের অর্থে শুধু একটা বিদেশ ভ্রমণ হয়েছে। সেটা বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস বা MWC। এটা প্রতিবছর হয়, যেখানে ঠিকাদার বা ভেন্ডরগুলো নিজ নিজ প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। যেহেতু তারা নিজেদের প্রযুক্তি প্রদর্শন করে, সে জন্য তারাই পৃথিবীর প্রতিটা দেশ থেকে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে যায় নিজ নিজ খরচে।’

তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ভেন্ডরদের মাধ্যমেই যেতে হয়, এটা তাদের টেক শো।’

‘উল্লেখ্য, প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় পার করছি, নিজের শিডিউল বিপর্যয় হবে এ জন্য আমি যাইনি কিন্তু আমাদের টিম গিয়েছে। এটাকে ঠিকাদারের অর্থে বিদেশ ভ্রমণ বলে চালিয়ে দিয়েছে একটি পত্রিকা।’

তুলনা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে ৭টি কোম্পানি, ২টি অধিদপ্তর, অনেকগুলো দপ্তর সংস্থা এবং আছে দুটি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান। আগের সরকারের আমলে প্রায় ৫০ জনের টিম যেত, এবার পাঁচজনের বেশি যায়নি।’

শেষে আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘সঠিক সমালোচনা করুন, জবাবদিহি করব। কিন্তু গুজব ছড়াইয়েন না, প্লিজ।’


সর্বশেষ সংবাদ