শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা তৈরির সভায় যে আলোচনা হলো
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩৬ PM , আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪০ PM
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি সংক্রান্ত সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী পরবর্তীতে ফের সভা করা হবে। এরপর বদলি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
সভা সূত্রে জানা গেছে, এমপিও নীতিমালা অনুয়ায়ী পারস্পরিক বদলি দিতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় বদলি চান না শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা ভিন্ন প্রক্রিয়ায় বদলির বিষয়টি সমাধান করতে চান। এক্ষেত্রে শূন্য পদের বিপরীতে বদলি করার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন কর্তাব্যক্তিরা।
ওই সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই শূন্য পদের বিপরীতে বদলির প্রক্রিয়া চালুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বদলি নিয়ে হাইকোর্টের একটি রায় রয়েছে। সেই রায়ও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত শিক্ষা প্রশাসনের একজন পরিচালক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আজকের সভায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের চাওয়া খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ হবে। এ বিষয়ে আমরা সকলেই একমত। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বদলি করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আজকের সভায় মূলত কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের বদলি করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকে অনেক ধরনের মতামত দিয়েছে। সব মতামত নোট করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। এই মতামত পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সভা করে বদলির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ্ মোঃ আজমতগীর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সভায় যে আলোচনা হয়েছে তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালককে লিপিবদ্ধ করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি প্রতিবেদন দেওয়ার পর পুনরায় সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে মাউশির ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষকদের চাওয়া-পাওয়া যেন পূরণ হয় আমরা সেভাবেই কাজ করছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আরেকটি সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।