হাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২২, ০১:৩০ PM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২২, ০২:০৮ PM
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জাতীয় শোক দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। সোমবার ( ১৫ আগস্ট ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ভোর ৫.৩৯ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়।
পরে সকাল ৯ টায় হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে জাতির পিতা ও পরিবারের অন্যান্য শহীদগণের স্মরণে কালো ব্যাজ ধারণ করে নীরবতা পালন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে স্থাপিত তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান। ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক, হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন , কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ১০ তলা একাডেমিক ভবনের পাশে একটি স্বর্ণচাঁপা ও একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন উপাচার্য। বৃক্ষরোপণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং সকাল ১১ টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন হাবিপ্রবির উপাচার্য।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, "বাঙালির জাতীয় জীবনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শোকাবহ একটি দিন। এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হত্যা করা হয়েছে জাতির পিতার প্রিয় সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জাতির পিতার প্রিয় সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে।
আরও পড়ুন: ১০৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাজেট পেল হাবিপ্রবি।
তিনি আরও বলেন, "আমরা পৃথিবীর ইতিহাসের এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছি। বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার, তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর চেতনা অবিনশ্বর। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির ভাস্বর চির প্রবহমান থাকবে।
উপাচার্য বলেন, জাতির পিতার আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি দেশরত্ন শেখ হাসিনার মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে সারাবিশ্বে। বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র "।
এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে হাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য শহীদগণের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদ জোহর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।