করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে সতর্ক হাবিপ্রবি

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে সতর্ক হাবিপ্রবি
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে সতর্ক হাবিপ্রবি  © ফাইল ছবি

সম্প্রতি বিশ্বের বেশকিছু দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রশাসন।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামানের আদেশক্রমে রেজিস্ট্রার ডা. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়।

পড়ুন: ওমিক্রন শনাক্তে কিট আনলো সিভাসু

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।

পড়ুন: ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৫ নির্দেশনা

নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও অধিক সংক্রমক হওয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধকল্পে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক কতিপয় নির্দেশনাসহ সতর্কপত্র জারি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ওই নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘ওমিক্রন’ আক্রান্তদের যেসব উপসর্গ দেখা যায়

ওমিক্রন ভাইরাস চিহ্নিত মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এতে আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছে পৃথিবীর অন্তত ১১টি দেশে। এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যখন নানা দেশ নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করেছে, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার ডাক্তাররা বলছেন, এখন পর্যন্ত ওমিক্রন নামের কোভিডের এই নতুন ধরনটির সংক্রমণে রোগীদের মধ্যে খুবই মৃদু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যানজেলিক কোয়েৎজি বিবিসিকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত সেদেশে কেসের সংখ্যায় সামান্য বৃদ্ধি ঘটেছে- কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্তদের অধিকাংশেরই হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার দরকার হয়নি।

তিনি আরও বলেন, হয়তো এর লক্ষণ অত্যন্ত মৃদু বলেই এই নতুন ধরনটি এতদিন শনাক্ত হয়নি। বিবিসিকে রবিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজ কোয়েৎজে বলেন, প্রথম যে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পাই সে একজন পুরুষ, বয়স ছিল ৩০ এর কোঠায়। এবং সে দু'দিন ধরে প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করার কথা বলছিল।

‘তার সাথে গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা। তবে কোনো কাশি ছিল না বা স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে ফেলাও ছিল না। এরকম লক্ষণ আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হওয়াতে আমি তার টেস্ট করাই। তাতে সে এবং তার পরিবারের সবাই পজিটিভ ধরা পড়লেও পরিবারের অন্যরা ভালো ছিল। সেজন্যই আমি বলছি মৃদু উপসর্গ।’

‘এরপর একদিনে আমি আরও কয়েকজন রোগী দেখি। তারাও সবাই পজিটিভ ছিল। এরপরই আমি টিকা সংক্রান্ত সরকারি কমিটিকে সতর্ক করি, যার সদস্য আমি নিজেও। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় যা দেখছি তা হলো সংক্রমিত সবারই লক্ষণ আমাদের বিবেচনায় অত্যন্ত মৃদু। আমরা কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করাইনি। আমি অন্য একজন সহযোগী ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি। তিনিও একই চিত্র তুলে ধরেছেন।’

মিজ কোয়েৎজি অবশ্য বলছেন, যদিও এখন পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তদের উপসর্গ খুবই মৃদু বলে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু দু সপ্তাহ পর হয়তো এই চিত্রটা বদলে যেতে পারে।

স্বাস্থ্য ও জীবন থেকে আরও পড়ুন


সর্বশেষ সংবাদ