গুচ্ছ ভর্তি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করব: মাভাবিপ্রবি উপাচার্য
- মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:২৩ AM , আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:২৬ AM

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ ঈদ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এবার তিনি ছুটির সময়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবেন থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, ‘আমি ঈদের দিন অবশ্যই ঢাকায় থাকব। এরপর এখানে-ওখানে যাওয়া আসার মধ্যে থাকব। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকব, বিশেষ করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে। এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বে আমরা আছি, আমি গুচ্ছের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে, যেখানে ২১টি কেন্দ্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে, যাতে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যয়-৭১ স্মৃতিস্তম্ভের কাজ হয়েছে। প্রধান ফটকের কাজ চলছে, এটি অব্যাহত থাকবে। আর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম যেগুলোতে চলে, সেগুলো চলতে থাকবে।
উপাচার্য বলেন, ‘আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগে আমি শুধু একজন শিক্ষক হিসেবে আমার বিভাগের কোর্স ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবতাম। কিন্তু এখন আমাকে সার্বিকভাবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা, সবকিছু নিয়েই ভাবতে হচ্ছে। ফলে চিন্তার পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি দায়িত্ববোধও অনেক বেশি বেড়েছে। কোনো ভালো কাজের ইতিবাচক প্রতিফলন দেখলে আনন্দ পাই।’
আরো পড়ুন: বাংলায় পড়া মানেই ইংরেজি বা অন্য ভাষাকে কম গুরুত্বপূর্ণ ভাবা নয়
শৈশবের ঈদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন স্কুল-কলেজে পড়তাম, তখন ঢাকায় ঈদ করতাম। ঈদের নামাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে প্রত্যেকের বাড়িতে যেতাম, খাওয়া-দাওয়া করতাম, গল্প করতাম। সারাদিন এভাবেই কেটে যেত। এখনকার শিশুদের ঈদের আনন্দ অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছে, তারা মোবাইল-কম্পিউটারে সময় কাটায়। আমাদের সময়ে ঈদের আনন্দ ছিল সরাসরি যোগাযোগ আর বন্ধুত্বের মধ্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ঈদে হয়তো নতুন জামাকাপড় বেশি হতো না, কিন্তু আনন্দের কমতি ছিল না। ঈদের দিনে একটা নতুন পোশাক পেলেই আমরা খুব খুশি হতাম। অভাব ছিল, কিন্তু সুখের কোনো ঘাটতি অনুভব করিনি। চাঁদরাতেও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, গল্প করেই সময় কাটাতাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনি সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ঈদ সবার জন্য আনন্দঘন হোক। সবাই যেন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন—এই কামনা করি।’