এবার মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচি ঘোষণা

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় লোগো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন ও সেমিস্টার ফি কমানোর ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটামের পর এবার সকল ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। নারী শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমে ভিডিও ধারণ করা শিক্ষার্থীর বহিষ্কারে বিলম্ব ও মামলা করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা। শুধু তাই নয়, দাবি আদায় না হলে আগামী ১৪ জানুয়ারি ‘লং মার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, গতকাল শনিবার সেমিস্টার ফি কমানো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সাথে মিটিং আয়োজন করে। আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে আয়োজিত মিটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত থেকে জানান, দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। কিন্তু এগুলো ধীরগতির প্রক্রিয়া। এ সময় শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম বিষয়ে অনড় থাকেন। মিটিংয়ে সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমে ভিডিও করার বিষয়টি উঠলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করেন। এরই প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।

অন্যদিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাম পরিবর্তন ও সেমিস্টার ফি কমানোর দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইউজিসির পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসলে আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যাবেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে “মার্চ টু ইউজিসি” কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে নারী শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমে লুকিয়ে ভিডিও করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়েন এক শিক্ষার্থীকে। পরবর্তীতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দিলে তার ফোনে একাধিক নারী শিক্ষার্থীর ভিডিও পাওয়া যায়। এছাড়াও তার ফোনে পর্ণগ্রাফিও পাওয়া যায়। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আসরাফউজ্জামান নুর। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করতে অনিচ্ছুক থাকায় তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হয় এবং পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। সেদিন রাতেই মামলা না হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে থানা থেকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের হেফাজতে দেয়া হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ