ভিসির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের

ভিসির সাথে আলোচনায় শিক্ষার্থীরা
ভিসির সাথে আলোচনায় শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে সেমিস্টার ফি কমানো সহ বিভিন্ন দাবিতে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।

আজ রবিবার ( ১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরপুরস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে আন্দোলনের শুরু করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- সেমিস্টার ফি কমানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি দুর্নীতির সঠিক তদন্ত ও অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (মাকসু) প্রতিষ্ঠা করা,  ক্লাসরুম থেকে সিসি ক্যামেরা সরানো ও সাংবাদিকতার অবাধ সুযোগ প্রদান।

জানা যায়, শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটির সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে বন্ধ করে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্লোগানে আন্দোলন শুরু করে। এ সময় তারা 'বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি' নামফলক টাঙিয়ে দেয়। পরবর্তীতে শিক্ষকরা এসে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও উপচার্য ও রেজিস্ট্রারের উপস্থিতি চাওয়া হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মেইন রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট রাস্তা বন্ধ থাকার পর উপাচার্যের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দেয়।

এসময় উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মানার বিষয়ে আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসতে সম্মত হন। দুপুর দুইটায় শুরু হওয়া এই আলোচনায় দাবিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে আগামী মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ইউজিসিতে সেমিস্টার ফি এর জন্য চিঠি পাঠানো হবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রণীত ৫০০০ টাকা সেমিস্টার ফি অনুযায়ী প্রস্তাব পাঠানো হবে। উপাচার্য নিজেও এ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের জন্যেও চিঠি পাঠিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কথা বলা হবে বলে জানান উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি দুর্নীতির তদন্তের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সহ একটি কমিটি গঠন করার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে উপাচার্য জানান, নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখার সুযোগ থাকলে রাখা হবে এবং কমিটির বিষয়ে সবাইকে জানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি ও চাওয়া-পাওয়া নিয়ে কাজ করার জন্য শিক্ষার্থী কল্যাণ কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের আশ্বাসে আজকের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তারা জানায়, দ্রুত দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর সেমিস্টার ফি কমানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। দাবির প্রেক্ষিতে দফায় দফায় বৈঠক ও সিন্ডিকেট মিটিং থেকে আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না আসায় আজকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ