দুই শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের
নিরাপত্তা জোরদারের দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ PM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ PM
বেসরকারি ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর দুই শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এ প্রতিবাদ জানান। একই সাথে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বানও জানানো হয়েছে মানববন্ধন থেকে।
রবিবার মানববন্ধন করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (ইডব্লিউইউ), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র (এআইইউবি) শিক্ষার্থীরা। তারা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন। একই সাথে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামনে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।
মানববন্ধনে থাকা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এআইইউবি এবং ইস্ট-ওয়েস্টের মেধাবী শিক্ষার্থী সিমান্ত এবং তাজবির হোসেন শিহান নির্মমভাবে নিহত হওয়ার ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া ফেলেছে। এসব নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষার্থী মহল ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে গভীর ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেজন্য তারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেছেন—আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলোর তীব্র প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ছাত্রদলের পোস্টারিং
দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং নিরাপত্তাহীনতা চলছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে ২০২৪-এর আন্দোলনে তাদের অবদান ছিল অগ্রগণ্য। কিন্তু বর্তমানে তাদের জীবনের প্রতি উদাসীনতা ও নিরাপত্তার অভাব এক উদ্বেগজনক চিত্র ফুটিয়ে তুলছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিটি নাগরিকের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন নৃশংস ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চলাফেরা, শিক্ষার পরিবেশ এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সিমান্ত এবং শিহানের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীদের অকালমৃত্যু শুধু তাদের পরিবার নয়, পুরো জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি জানিয়ে মানববন্ধনে থাকা শিক্ষার্থীরা এসব ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।