মাভাবিপ্রবিতে সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ বাসচালকের বিরুদ্ধে

মারধরে আহত বাসচালক পলাশ চন্দ্র দাস
মারধরে আহত বাসচালক পলাশ চন্দ্র দাস  © ফাইল ছবি

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) বাসচালকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর দায়ের করা অভিযোগে সূত্রে এ তথ্য জানা‌ গেছে। তবে অভিযুক্ত চালক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, সোমবার দুপুরের ট্রিপে তিনটি বাসের পরিবর্তে দুটি বাস ছেড়ে আসে। ফলে ক্যাম্পাসে থেকে শহরগামী বাসে সিট সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন দুই বাসচালক। পরবর্তীতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে বাসচালক পলাশ দুপুরের ট্রিপে না যাওয়ার কারণ জানতে চান দীপকের (বাসচালক) কাছে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ান তারা। 

একপর্যায়ে বাসচালক জাহিদ ‌দূর থেকে তেড়ে আসে মারার জন্য। এলোপাতারি কিল, ঘুষি দিতে থাকে। এতে পলাশের (বাসচালক) মাথায় ও হাতে আঘাত পায়। তাৎক্ষণিক প্রতক্ষ্যদর্শী ও সহকর্মীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, এর আগেও একবার তিনি মারধরের শিকার হন। শুধু আমিই নই, আরো অনেকে বিভিন্ন সময়ে জাহিদের মারধরের শিকার হন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরো পড়ুন: ববি ও বিএম কলেজে সংঘর্ষের নেপথ্যে চাঁদাবাজি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরেক চালক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীপক ও পলাশের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। দীপক অসুস্থ, কিডনিতে সমস্যা। দু’জনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। আমি ও  মালেক (বাসচালক) থামাতে যাই। এ সময় পলাশ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। 

মারধরের ঘটনায় বিষয়ে পরিবহন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার সৈয়দ মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ বলেন, শুনেছি জাহিদ ও পলাশের মধ্যে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে। আমি খোঁজ নিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিবহন অফিস থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে তাকে। পরিবহন পরিচালক না‌ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বিষয়টি দেখবেন।


সর্বশেষ সংবাদ