২৩ জুন থেকে অনলাইনে ক্লাস নেবে শাবিপ্রবি
বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ১২:২৪ PM , আপডেট: ২০ জুন ২০২৪, ১২:৩৩ PM
ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়ে সুরমার নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলে নদীগুলো টুইটুম্বুর হয়ে ফুলে উঠেছে হাওর। রাতের মুষলধারে বৃষ্টির ভয়ে বন্যা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে মানুষের।
সিলেটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি প্রধান সড়কেও পানি রয়েছে। এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ভারী বর্ষণের ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েয়ে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার কথা চিন্তা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বলেন, সিলেটের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ২৩ জুন থেকে সব ক্লাস অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার বিষয়ে অধ্যাপক কবির হোসেন বলেন, যেসব ডিপার্টমেন্টে ২৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে, সেসব ডিপার্টমেন্টে শিক্ষার্থীরা কথা বলে পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করবেন। আর আগামী ২৩ জনু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস যথারীতি চলমান থাকবে।
এর আগে, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষ্যে গত ২৬ জুন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ২১, ২২ তারিখ শুক্রবার, শনিবার হওয়ায় ২৩ জুন রবিবার থেকে যথারীতি অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে আগে থেকে নির্দেশনা ছিল। তবে বন্যা পরিস্থিতিতে সশরীরের পরিবর্তে অনলাইনে হবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস।
এদিকে, সিলেটে গতকাল বুধবার সারা দিন বৃষ্টির পর রাতে বৃষ্টি হয়নি। তবে এতে পানিবন্দী লোকজনের ভোগান্তি কমেনি। রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে এমন আশা করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে পানিবন্দী লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার রাতে বৃষ্টি রেকর্ড হয়নি। সিলেটে আগামী দুই দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আজ সকাল ৯টায় সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি আজ সকাল থেকে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটে বৃষ্টি কম হওয়া এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টির ওপর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি নির্ভর করছে। পাহাড়ি ঢল নামার ফলে নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।