যবিপ্রবির ছাত্রকে ছুরি মেরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২৫ PM , আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২৫ PM
যশোরের রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আদনান আহমেদ প্রান্ত নামে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পায়ে ও হাতে ছুরি মেরে তার কাছে থাকা জিনিসপত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক বিকাল সাড়ে পাঁচ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আদনানকে উদ্ধার করে যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আদনান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আদনান বলেন, আমি এক বন্ধুর বাসায় যাওয়ার পথে পথিমধ্যে টয়লেটে যাই। টয়লেট শেষে পেছন ফিরে তাকাতেই অজ্ঞাত একটি ছেলেকে দেখি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে বসে। তারপর তাদের সঙ্গে আমার কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়।
‘‘একপর্যায়ে তারা আমার হাতেও চাকু বসিয়ে দেয়। আমার আওয়াজ শুনে একটুখানি দূরে অবস্থান করা আমার এক বন্ধু এগিয়ে আসলে তারা দেয়াল টপকিয়ে চলে যায়। পরে আশপাশের মানুষ জড়ো হয়ে আমাকে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। এখন একটু স্বস্তি অনুভব করলেও ব্যথার পরিমাণটা অনেক বেশি।’’
ছাত্র ইউনিয়নের যবিপ্রবি সংসদের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, যবিপ্রবির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৪র্থ বষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা আদনান আহমেদ প্রান্ত আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় যশোর রেলওয়ে স্টেশনে ছিনতাইকারীর আক্রমনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, তার পায়ে এবং কাঁধে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা এবং ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যশোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নত করার জন্য যশোর জেলা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রোকন বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে আহত ছাত্রকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। আসামি ধরার বিষয়টি দেখতেছে চাচড়া ফাড়ি পুলিশ টিম এবং মোবাইল টিম। তারা ইতিমধ্যে আসামি ধরার জন্য অভিযানও শুরু করেছে। আসা করা যায় খুব শিগগিরই আসামি ধরা পড়বে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল-ইমরান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। শিক্ষার্থী আদনান ও তার ২ জন বন্ধুর সাথে কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথিমধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আঘাতের স্থানে ৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা দেবো।