গবেষণা করে কাঁকড়া চাষ করছেন নোবিপ্রবি অধ্যাপক
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৯ PM , আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৯ PM
জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং বৈদেশিক চাহিদা মেটাতে চিংড়ির মতো হ্যাচারিতে কাকড়ার পোনা উৎপাদন ও কাকড়া চাষে সম্পুরক খাদ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষণা করছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) গবেষক ও মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন প্রকল্প, মৎস্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে সম্পুরক খাদ্য ব্যবহার করে হ্যাচারিতে উৎপাদিত শীলা কাকড়ার চাষ প্রকল্প শুরু করেন ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রকল্পটিতে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্স ইউনিভার্সিটি, গ্লোব এগ্রো লিমিটেড, ইরাওয়াব ট্রেডিং সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
১০০ জন কাকড়া চাষীকে নিয়ে সম্পুরক খাদ্য ব্যবহার করে হ্যাচারিতে উতপাদিত কাকড়ার পোনা নার্সিং ও মোটাতাজাকরণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি কক্সবাজার এবং সাতক্ষীরা জেলায় চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি হ্যাচারিতে কাকড়ার পোনা উৎপাদন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে, প্রথম ব্যাচে উৎপাদিত প্রায় ২০ হাজার পোনা কক্সবাজারের ১৩ জন কাকড়া চাষীকে সরবরাহ করা হয়, এই পোনা নার্সিং ও চাষাবাদে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্ক উদ্ভাবিত সম্পূরক খাদ্যও চাষীদের সরবরাহ করা হয়।
শনিবার (১৮ মার্চ) চাষী পর্যায়ে সরবরাহ কৃত উক্ত কাকড়ার প্রথম আহরণ উপলক্ষে টেকনাফের মিনাবাজারে মাঠ দিবস কর্মসূচি পালিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: বদরুজ্জামান। এছাড়াও শতাধিক মৎস্যচাষী , সুফলভোগী চাষসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি মাহবুবুল হক প্রকল্পের অগ্রতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন কাকড়া ব্লু ইকোনোমিতে, উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি গবেষকদের চাষীবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে জোর দেয়ার আহবান জানান।
প্রধান গবেষক ড. মামুন বলেন, হ্যাচারীর পোনা ও সম্পূরক খাবার দিয়ে কাঁকড়া উৎপাদন বাংলাদেশের উপকূলীয় মৎস্য চাষে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি উদোক্তাদের প্রযুক্তি সম্প্রসারণে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।