পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন

  © ফাইল ছবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এক অফিস আদেশে 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে কমিটির আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (স. মা.-২) মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহানকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

এই কমিটির কার্যপরিধি হচ্ছে-

১. পাঠপুস্তকে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করা। 

২. প্রণীত পাণ্ডুলিপিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করা। 

৩. বিষয়বস্তু, লেখার উদ্দেশ্য, লেখার মান, রচনার পরিমাণ, ভাষা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে পাণ্ডুলিপিকে প্রকাশযোগ্য ও মানসম্পন্ন করে তোলা। 

৪. রাষ্ট্রীয় দর্শন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় মতাদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধ যথাযথ আছে কিনা তা যাচাই করা। 

৫. শিক্ষাক্রমের নিরিখে প্রদত্ত বা নির্দেশিত শিখন-শেখান কৌশলের সাথে পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত টাস্ক, এক্টিভিটি প্রভৃতির সামঞ্জস্যতা পর্যবেক্ষণ করা। 

৬. পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এবং প্রদত্ত ছবি, চার্ট, ডায়াগ্রাম, তথ্য ইত্যাদি সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে স্পর্শকাতর বলে প্রতীয়মান হলে সেগুলো চিহ্নিত করে তার বিপরীতে মতামত প্রদান করা। 

৭. পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম সমন্বয় করা। 

৮. গঠিত কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।


সর্বশেষ সংবাদ