বৈশ্বিক উষ্ণতা নতুন প্রজন্মের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ—ঢাবির সমাবর্তন বক্তা

রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সমাবর্তন বক্তা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সমাবর্তন বক্তা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন  © টিডিসি ফটো

বৈশ্বিক উষ্ণতাকে নতুন প্রজন্মের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনের সমাবর্তন বক্তা ও নোবেল বিজয়ী জাপানী পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান হচ্ছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। তাই তরুণ প্রজন্মকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আরও বেশি সম্পৃক্ত ও মনোযোগী হতে হবে। 

সমাবর্তনে সনদ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আগামীতে তাদের ‘কাজের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব মানবিকতায় অবদান’ রাখবেন এমন প্রত্যাশার কথা জানান নোবেলজয়ী এই অধ্যাপক। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ সমার্তন অনুষ্ঠান।

সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে নিজের গবেষণা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এই নোবেলজয়ী অধ্যাপক। বিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হয়ত এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রতিনিয়তই এটি আমাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারবে না। তবে দীর্ঘমেয়াদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের জীবনে মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে আপনারা বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষকে বন্ধু বানাতে পারেন। এইভাবে আমি মনে করি, বিজ্ঞান বৈশ্বিক শান্তি স্থাপনের একটি অন্যতম মাধ্যম।

তিনি বলেন, আপনারা হয়ত অবশ্যই সবাই বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে অবগত আছেন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত কঠিন একটি সমস্যা। এই সমস্যা রোধ করতে আমরা বিশ্বের বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে। এটি বন্ধ করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।

জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক কাজিতা ২০১৫ সালে মৌলিক কণিকা নিউট্রিনো নিয়ে গবেষণার জন্য কানাডার আর্থার বি ম্যাকডোনাল্ডের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান।

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাইটেশন পাঠ করেন ও ভাষণ দেন। সমাবর্তনে অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতাকে ডক্টর অব সাইন্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়। প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৭৯ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ৯৮টি স্বর্ণপদক, ৫৭ জনকে পিএইচডি, ৬ জনকে ডিবিএ এবং ১৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে ২০ হাজার ৭শ’ ৯৬ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence