ঢাবিতে বিতর্ক: গ্রীষ্ম, বর্ষা না বসন্ত ঋতু সেরা?

ঢাবিতে ঋতু বিতর্কে অংশগ্রহণকারী ছয় বিতার্কিক
ঢাবিতে ঋতু বিতর্কে অংশগ্রহণকারী ছয় বিতার্কিক  © সংগৃহীত

প্রকৃতিতে এখন বসন্তের ছোঁয়া। ফুলে ফুলে ভরে উঠছে চারপাশ। কৃষ্ণচূড়া, শিমুল-পলাশ ও বাগান বিলাসের বাহারি রঙে শহরেও বাসন্তী পরিবেশ বিরাজ করছে। বসন্তের এ কোকিল ডাকা বিকেলে তর্কজালের পরিকল্পনায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একুশে ডিবেটিং ক্লাবের (ইডিসি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ঋতু বিতর্ক’। ঢাবির অমর একুশে হল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এ বিতর্ক অংশ নেন দেশের শীর্ষস্থানীয় তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা।

একুশে ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছাল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. শরীফুল ইসলাম। বিতর্কে ঋতু বৈচিত্র্যের এ বাংলাদেশে আপন বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল ছয়টি ঋতুকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিতার্কিকরা। বিতর্কের বিষয় ছিল- ‘ঋতু যায় ঋতু আসে, আমার মতো কেহ নয়’।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে  বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতায় গ্রীষ্মকালকে তুলে ধরেন ঢাবির এফ রহমান ডিবেটিং ক্লাবের (এফআরডিসি) সহ-সভাপতি মবিন মজুমদার। বর্ষার প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা ডিবেটিং ক্লাবের ফারজানা নির্জনা। জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বিতার্কিক নাদিয়া ফারহানা তিতলী প্রতিনিধিত্ব করেন শরৎকালের।

আরো পড়ুন: চবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে বানান ভুল, শিক্ষকের ক্ষোভ

অন্যদিকে একুশে ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পিয়াস মাহমুদ বর্ণনা করেন কেন হেমন্ত ঋতু সেরা। শীতকালের অনিবার্যতা নিয়ে উপস্থাপনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (বশেমুরবিপ্রবিডিএস) বিতার্কিক সালমা নওশীন। সর্বশেষ বসন্তের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেন ঢাবির শামসুন নাহার হল ডিবেটিং ক্লাবের বিতার্কিক চন্দ্রিকা মণ্ডল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইডিসির সাবেক সভাপতি সাফিন উজ জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিন খান ও তর্কজালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাইমিন আহমেদ আশিক। এর আগে তর্কজালের পরিকল্পনায় ঢাবি ও জবিতে ফল ও পিঠা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।


সর্বশেষ সংবাদ