একজনের দুই প্রেমিকের মারামারি, থামাতে গিয়ে কোপ খেলেন ছাত্রলীগ নেতা

দুই প্রেমিকের মারামারি থামাতে গিয়ে ধারালো চাকুর আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা
দুই প্রেমিকের মারামারি থামাতে গিয়ে ধারালো চাকুর আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা  © প্রতীকী ছবি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে দুই প্রেমিকের মারামারি থামাতে গিয়ে ধারালো চাকুর আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার পদ্মা তীরে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক ফাহিম মোল্লা গ্রুপ ও সিয়ামের মধ্যে মারামারি থামাতে গিয়েছিলেন হাসাইল-বানারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নিশাদ মেলকার। 

জানা গেছে, নিশাদ উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করতে গেলে ফাহিম গ্রুপের নিলয় তার উপর চটে যায়। সেখানেই নিশাদের বুকে, পেটে একাধিক কোপ মারলে নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে যায়। আর নিলয়ের সহযোগী সোহাগের হাত রক্তাক্ত হয়।

নিশাদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম বলনে, গুরুতর আহত নিশাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ফাহিম এক মেয়েকে নিয়ে সন্ধ্যায় পদ্মা পাড়ে ঘুরতে আসে। সেখানে উপস্থিত হন আরেক প্রেমিক সিয়াম। এ সময় সিয়াম ঘটনাস্থলেই জিসানাকে থাপ্পর মারলে মারামারি শুরু হয়। পরে সেখানে নিলয় গ্রুপ ফাহিমের পক্ষ নিয়ে মারামারিতে যোগ দেয়। 

আরো পড়ুন: পিস্তল হাতে ফিল্মি স্টাইলে পোজ ছাত্রলীগ নেতার

ঘটনার পর নিলয় দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ছাড়া সোহাগ গুরুতর জখম নিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সময় পুলিশ আটক করে। আর স্থানীয়রা ফাহিম ও মাহিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। সিয়াম ও ফাহিম একটি মেয়েকে ভালোবাসে।

নিশাদের বাবা আজগর মেলকার জানান, তার ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি মোল্লা সাহেব আলী বলেন, মারামারির সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ