বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

কনস্টেবল ইউনুস আলী
কনস্টেবল ইউনুস আলী  © সংগৃহীত

ফেনীতে কিশোরকে ভয় দেখিয়ে তিন মাস ধরে বলাৎকারের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ফেনী মডেল থানায় কর্মস্থল থেকে দুপুরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বুধবার নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের মা কনস্টেবল ইউনুস আলীর নামে থানায় মামলা করেন।

ভুক্তভোগী কিশোর জানান, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ফেনীর মহিপালে দেহ তল্লাশির নামে তাকে আটক করে ইউনুস আলী। এরপর তাকে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে। সেখানে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রথম দফা বলাৎকার করে সেই ভিডিও ধারণ করে মোবাইলে। এই ভিডিও দেখিয়ে নিয়মিত লালসার শিকার করে ইউনুস। তার কাছ থেকে নগদ টাকাও হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে ওই ভুক্তভোগী কিশোর।

বিকৃত রুচির ইউনুস তার কিছু সহযোগীদেরও এই কিশোরের পেছনে লেলিয়ে দেয়। এতে বেঁকে বসে তরুণ। নিজেকে রক্ষা করতে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ওই কিশোর ইউনুসের মোবাইল চুরি করে সকল ভিডিও মুছে ফেলে। পাওনা টাকা বাবদ মোবাইলটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এরপর পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল চুরির অপবাদ দিলে সেই মোবাইল উদ্ধারে নামলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। জানাজানি হয় পুরো ঘটনাটি।

আরও পড়ুন: খাবারের বিনিময়ে টিউশনি করাতে চাওয়া সেই যুবককে খুঁজছে পুলিশ

নির্যাতিত কিশোর আরও জানান, থানার সামনে একটি স্থান (পরিত্যক্ত গাড়ির ফাঁকে) নির্যাতনের আঁতুড় ঘর বানিয়েছে পুলিশ সদস্য ইউনুস আলী। আমাকে যখন-তখন এখানে আসতে বাধ্য করা হতো। প্রায় গভীর রাতে চালানো হতো ঘৃণ্য এমন নির্যাতন।

১৩ এপ্রিল ভুক্তভোগী কিশোরের মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ইউনুস আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় ওই কিশোরের পরিবার। তার মা জানান, শুধু ইউনুস আলী নয়, তার সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন জানান, কিশোর ছেলেটির মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরকে আমাদের জিম্মায় রেখেছি। সে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিবে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে আজ।


সর্বশেষ সংবাদ