কান্না না থামায় যমজ শিশুদের হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেন মা

খুলনার তেরখাদায় আড়াই মাস বয়সী যমজ শিশুদের হত্যার কথা স্বীকার করেছে মা কণা বেগম। কান্না না থামায় বিরক্ত হয়ে তিনি শ্বাসরোধ করে শিশুদের হত্যা করেন বলে জানান। পরে তাদের লাশ পুকুরে ফেলে দেন তিনি।

আজ শনিবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুদের হত্যার কথা স্বীকার করে এসব কথা জানান কণা বেগম। এ ঘটনায় শুক্রবার তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে, যমজ শিশু মুক্তা ও মণির লাশ খায়ের শেখের বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। ৪ বছর আগে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে কণা’র বিয়ে হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানিয়েছেন, বাচ্চা দুটি সবসময় কান্নাকাটি করত। এ নিয়ে ওই সন্তানের মা অনেক বিরক্ত ছিলেন। কয়েকদিন আগে কনা তার স্বামীকে ফোন করে তাদেরকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। স্বামী মাসুম বিল্লাহ ১ মার্চে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কনার যমজ সন্তান ঘুম থেকে জেগে যায় এবং কান্নাকাটি শুরু করে। তখন দুধ খাইয়ে তাদের ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করেন কনা। কিন্তু তাদের কান্না না থামায় তিনি নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে নিয়ে ফেলে দেন।

আরও পড়ুন- আগের সংসার গোপন করে রওশনকে বিয়ে, ভুয়া রাবিতে পড়ার তথ্যও!

এসআই এনামুল হক জানান, হত্যার পর  কণা নাটক সাজান যে, তিনি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার বিছানা থেকে বাচ্চা দুটি উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক কনার বাবা শেখ খায়রুজ্জামান ও মা শরিফা বেগমকে শনিবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কণা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন