ঢামেকে ছাত্রলীগ-কর্মচারী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে কর্মচারীদের ধাওয়া দিয়ে হাসপাতাল প্রবেশ করে
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে কর্মচারীদের ধাওয়া দিয়ে হাসপাতাল প্রবেশ করে  © সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও কলেজ ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জনি নামের এক কর্মচারী আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) এই ঘটনা ঘটে। 

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সভাপতি শেখ মো. আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক জাকিউল ইসলাম ফুয়াদ। 

জানা যায়, আগাম কর্মসূচি অনুযায়ী আজ কলেজে আউট সোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগের টেন্ডার জমা দেওয়ার কথা ছিল। এর প্রতিবাদে সকাল ১০টায় ঢামেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে আউট সোর্সিং জনবল নিয়োগের প্রতিবাদে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করার কথা ছিল। কলেজে ঢোকার সময় ছাত্রলীগ ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। 

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অধ্যক্ষের কক্ষে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদসহ ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে আউট সোর্সিং নিয়োগের বিষয়টি সুরাহা করে। 

এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে কর্মচারীদের ধাওয়া দিয়ে হাসপাতাল প্রবেশ করে। এরপর ১০৮ ও ১০৯ নম্বর মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে এক কর্মচারীকে মারধর করে। এ সময় কর্মচারীরা ওয়ার্ডের গেট বন্ধ করে ছাত্রলীগ নেতাদের অবরুদ্ধ করে। এ সময় ভেতর ও বাইরে দুপক্ষ স্লোগান দিতে থাকে। 

হাসপাতালে হট্টগোলের কারণে হাসপাতালের ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের মধ্যে একটা ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা ও হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। হাসপাতালে পুলিশও উপস্থিত ছিল। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আশরাফুল আলম জানান, একটি ভুল বোঝাবুঝির পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনা ঘটেছে। পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ও প্রিন্সিপাল টিটো মিঞাসহ অনেকেই ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। একপর্যায়ে পরিচালক আজকের এই পরিস্থিতির জন্য কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিউল ইসলাম ফুয়াদ জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কলেজের সামনে প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় সেখানে অবস্থানরত চতুর্থ শ্রেণির কিছু লোকজন আমাদের ওপর চড়াও হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, কলেজের সামনে আউটসোর্সিংয়ের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এ সময় কলেজের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করছিল ছাত্ররা। তখন তাদের মধ্যে কিছু একটা বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। ওই সূত্র ধরে হাসপাতালে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের গেট বন্ধ করে দুই পক্ষ অবস্থান নেয়। তখন আমরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিই। 


সর্বশেষ সংবাদ