হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নারী কর্মকর্তাকে নদী থেকে উদ্ধার
- বরিশাল প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২০, ১১:১৭ AM , আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০, ১২:১৩ PM
বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে কর্মরত এক নারীকে অচেতন অবস্থায় নদী থেকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। তার নাম সুব্রত কর্মকার। তিনি বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বিএসএস কর্র্মকর্তা।
বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত সোয়া ৯ টার দিকে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা বলে জানিয়েছেন উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল হক।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল তাকে কেউ নদীতে ফেলে দিয়েছে। কেননা যে ব্রিজ থেকে পড়েছেন সেখানে রেলিং ছিলো। হুট করেই সেখান থেকে পড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। হয় নিজে ঝাঁপ দিয়েছেন, না হয় কেউ তাকে ফেলে দিয়েছে। এমনকি উদ্ধারকারীদের কাছে নাকি তিনি বলেছেনও তাকে কেউ ধাক্কা মেরে ফেলেছে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই নারী পুলিশের কাছে বলেছেন দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেছেন। তাকে কেউ ধাক্কা বা নিজে থেকে নদীতে ঝাঁপ দেননি। তার স্বামীর সাথেও কথা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের শিকারপুর ব্রীজের ওপর থেকে সন্ধ্যা নদীতে পড়ে যান তিনি। ওই নারীকে উদ্ধারকারী স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন দাবী করেছেন, রাত ৯টার দিকে উজিরপুর পৌরসভার কালীর বাজার নামক এলাকার সন্ধ্যা নদীর অংশে টর্চ লাইট মারলে একজন নারীকে ভাসতে দেখি। ট্রলার নিয়ে কয়েকজন ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই এবং ঘটনাটি উজিরপুর থানা পুলিশকে অবগত করি।
গিয়াস ওই নারীর বরাত দিয়ে দাবি বলেন, হাসপাতালে নেয়ার পরে তিনি (নারী) নিজেই পুলিশকে জানিয়েছেন শিকারপুর ব্রিজের ওপর থেকে একজন ধাক্কা মেরে তাকে নদীতে ফেলে দিয়েছে। তবে কে এবং কি কারণে এমন করেছে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। এমনকি বরিশাল থেকে কেন তিনি শিকারপুর ব্রিজে গেছেন সে বিষয়টিও খোলাসা করেননি। তবে উদ্ধারকারীদের ধারণা, কারও সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন ব্রিজের ওপর। সেখানে যেকোন কারনে তাকে ধাক্কা মেরে নদী ফেলে দিয়ে সঙ্গী পালিয়ে যেতে পারেন। কিংবা ঘরোয়া বিরোধের জের ধরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাতেও পারেন। যদিও কিছুই বলছেন না এখন সুব্রত কর্মকার।
প্রসঙ্গত, সুব্রত কর্মকার বরিশাল নগরীর বগুড়া রোড এলাকার বাসিন্দা এবং পূবালী ব্যাংকের হিজলা উপজেলা শাখার কর্মকর্তা সঞ্জীব কর্মকারের স্ত্রী। সুব্রত কর্মকারের বাবার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর থানাধীন কাঠিবাড়ি এলাকায়। এছাড়া স্বামী সঞ্জীব বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা।