সাবেক সংসদ সদস্যের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

কবরে আগুন-ভাঙচুর
কবরে আগুন-ভাঙচুর  © সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলীর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে প্রয়াত এ সংসদ সদস্যের কবরে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। কবরের টাইলসের বিভিন্ন অংশের ভাঙা টুকরোও পড়ে থাকতে দেখা যায়।

মইন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান ফেসবুকে স্ট্যাটাসে ঘটনার বিষয়টি জানান। পাশাপাশি তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন: সারাদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনা কর্মকর্তারা

সেলিনা খান ফেসবুকে লিখেছেন, “কতিপয় সন্ত্রাসী আজ দুপুরে গাড়ি নিয়ে এসে মইন উদ্দীন খান বাদলের পৈতৃক ভিটার কবরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। ...এখন কবরেও মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।”

বিষয়টি নিয়ে সেলিনা খান বলেন, একটি গাড়ি নিয়ে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত কবরস্থানের ওপরের গাছ, ফটক ও নামফলক ভাঙচুর করে। এরপর কবরের ওপর আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা কেউ ছিলাম না। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে।

সেলিনা খান আরও বলেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের আমলে যদি মানুষ কবরেও শান্তিতে থাকতে না পারে, তাহলে আমরা কোথায় যাব? আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। বাদল কখনো কোনো দুর্নীতির সঙ্গে ছিলেন না। তার কোনো বদনাম নেই। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী কবরে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়েছে। অভিযোগ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাবেক কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মারা যান। সারোয়াতলীর বাড়ির পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ