কারাগার থেকে হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতাসহ শতাধিক বন্দির পলায়ন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪১ PM , আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫১ PM
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ফটকের তালা ভেঙে পালিয়ে গেছেন শতাধিক কয়েদি। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ডিউটি বদলের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দিদের মারধরে ২৫ কারারক্ষী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল কারাগারে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর পৌনে ২টার দিকে কারারক্ষীদের ডিউটি বদলের মুহূর্তে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী কারাগারের সামনে আসে। ঠিক সেই সময় কারা অভ্যন্তরে আটক কলেজছাত্র মিলন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কিশোর গ্যাং প্রধান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এস কে সবুজের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন বন্দি ভেতরের কারা ফটকে কারারক্ষীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা গেট ভেঙে পালাতে থাকে।
সেই সুযোগে অন্য বন্দিরাও পালাতে থাকলে পাগলা ঘণ্টা বাজানো হলে কারারক্ষীরা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরই মধ্যে শতাধিক বন্দি পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা জেল গেটে উপস্থিত হন।
এস কে সজীব চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর চর থেকে ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার হওয়া মিলন হোসেন (২৭) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি (বহিষ্কৃত)। পাশাপাশি পুলিশের তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং-প্রধান তিনি। এস কে সজীবের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া শহরে একটি গ্যাং চলে।
কারাগার সূত্র জানা যায়, কারাগারের রক্ষীদের ডিউটি বদলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বন্দিরা আগাবি ওসমানসহ উপস্থিত ২৫-৩০ জন কারারক্ষীকে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেলার আবু মুসা জানান, কারাগার থেকে ঠিক কতজন কয়েদি পালিয়ে গেছে, তার সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
তবে জেল সুপার আব্দুল বারেক বলেন, ২০-২৫ জন কারারক্ষীকে আহত করে ৩০-৩৫ জন বন্দি পালালেও কোনো অস্ত্র খোয়া যায়নি।