ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ

গুলিবিদ্ধ যুবলীগকর্মী একরামুল হক গুড্ডু
গুলিবিদ্ধ যুবলীগকর্মী একরামুল হক গুড্ডু  © সংগৃহীত

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে রাজশাহীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বালিয়াপুকুর ছোট বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত তিনজনের মধ্যে যুবলীগকর্মী একরামুল হক গুড্ডুর (৩৫) পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।

নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মুনিরুজ্জামান মনি এবং নগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তরিকের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। একজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথাও জানান। কে গুলি চালিয়েছে, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্তের পাশাপাশি অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই যুবকের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সন্ধ্যায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে  সালিশ বসে। তরিকুল ইসলাম এক পক্ষের হয়ে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তরিক উত্তেজিত হয়ে কাউন্সিলরকে গালাগাল করে চলে যান। পরে কাউন্সিলরের বাবাসহ তার লোকজন তরিকের বাড়িতে গিয়ে গালাগালের কৈফিয়ত চান।

আরো পড়ুন: শাহবাগে ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে তর্কাতর্কি, ফাঁকা গুলি ছুড়লেন আ.লীগ নেতা

একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষ জড়ায়। এ সময় দুপক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হন চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রামের গুড্ডু। তাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার পুঙ্গ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিল্লাল উদ্দিন বলেন, ডান পায়ে গুলি লেগে রক্তক্ষরণ হয়েছে তার।

সংঘর্ষের জন্য তরিকুলকে দায়ী করে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, তাঁকে লক্ষ্য গুলি করেছে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুড্ডুর ডান পায়ে লাগে। তবে এ বিষয়ে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামের বক্তব্য জানা যায়নি। 


সর্বশেষ সংবাদ