মাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল ছেলে

মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে জাহিদ মাঝি
মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে জাহিদ মাঝি  © সংগৃহীত

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় মাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে জাহিদ মাঝি (২৫)। বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার ঘড়িষার বাজারের হাজী জালালউদ্দিন মার্কেটের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নার্গিস বেগম (৪০) ঘড়িষার বাজারের হাজী জালালউদ্দিন মার্কেটের মালিক ও ঘড়িষার বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মাঝির স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে দাওয়াত খেয়ে বিকেলে বাড়িতে ফেরেন সেলিম মাঝি ও তাঁর স্ত্রী। পরে স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়িতে রেখে সেলিম মাঝি দোকানে চলে যান। সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে ফিরে দেখেন নার্গিস বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। আর ছেলে জাহিদ বটি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।

পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় জাহিদকে বেঁধে রাখা হয়। নার্গিস বেগমকে ঘড়িষার বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সেলিম মাঝি ও নার্গিস বেগম দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে জাহিদ বড়। 

এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে জাহিদকে আটক করে নিয়ে যায়। নার্গিস বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকলে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

নিহত নার্গিস বেগমের স্বামী সেলিম মাঝি বলেন, ছেলে জাহিদের মাথায় সমস্যা রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে উদ্ভট আচরণ করছিল। কিন্তু সে তার মাকে এভাবে খুন করবে বুঝতে পারিনি। আমি ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

আটকরে পর অভিযুক্ত জাহিদ মাঝি বলেন, আমার মা–বাবা দুজনেই মুনাফেক। তাঁরা আমাকে দ্বীনের কাজে বাঁধা দিয়ে আসছে। তাঁদের কারণে আমি আমার দ্বীনের কাজ সঠিকভাবে পালন করতে পারছি না। এ জন্য আমি আমার মুনাফেক মাকে হত্যা করেছি। আমার কোনো দুঃখ নাই।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান,  এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে বটিসহ ছেলে জাহিদকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ