জবি শিক্ষক পেটানো খুলনার সেই চেয়ারম্যান কারাগারে

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে নির্যাতন ও জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনায় খুলনার সেই চেয়ারম্যান সহ চার আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুরে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ, মামলার আসামী মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মজিবুর রহমান ও মো. রাসেল। আদালতের বিচারক মো. আজাহারুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে ১৬ মে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত আসামিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার সভাপতি। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বোর্ডের সদস্য ছিলেন ড. নজরুল।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ল সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা

গত ৫ মে উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় মাদরাসার সভাপতি মাহমুদ ও তাঁর অনুসারীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে পাশ করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন এবং মারধর করে। এক পর্যায়ে তাঁর কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেন। পরবর্তীতে নির্যাতিত অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় মামলা করেন।

ঘটনাটির প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমাবেশ ও মানববন্ধন সহ নানান কর্মসূচি পালন করে তাঁরা।


সর্বশেষ সংবাদ