হেরেই গেল বাংলাদেশ, আরব আমিরাতের ইতিহাস
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০১:৫২ AM , আপডেট: ২১ মে ২০২৫, ১১:০৪ PM
তানজিদ হাসান তামিমের টর্নেডো হাফ-সেঞ্চুরির পর লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের ঝোড়ো ইনিংসে রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০৬ রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারে ১০৭ রান তুলে চোখ রাঙাচ্ছিল স্বাগতিকরা। মাঝের দিকে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরলেও ক্যাচ মিস, বাজে ফিল্ডিংয়ে হার এড়াতে পারেনি লিটন দাসের দল।
এই জয়ে ১-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা আনলো আমিরাত। <span;>সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আগামী ২১ মে মাঠে গড়াবে।
সোমবার (১৯ মে) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। জবাবে অধিনায়ক ওয়াসিমের ৫ ছক্কা ও ৯ চারে ৪২ বলে ৮২ রান ও বাকি ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে স্বাগতিকরা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই দাপট দেখায় স্বাগতিকরা। ওপেনিং জুটিতে ১০৭ রান তুলেন ওয়াসিম ও জুহাইব। ৫২ বলে ৮২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে জয়ের স্বপ্ন বুনেন আমিরাত অধিনায়ক। মাঝে বেশ কটি সহজ ক্যাচ মিস করে সফরকারীরা।
তবে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরই বিপদে পড়েছিল স্বাগতিকরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে যাচ্ছিল। শেষ ১১ বলে ২৯ রানের সমীকরণ ছিল। সেখান থেকেও দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরে আমিরাত৷ আর শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণ মিলিয়ে জয় তুলে নেয় স্বাগতিক দল।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমনের অভাবটা মোটেই বুঝতে দেননি তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলেন তিনি।
মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরিও ছুঁয়ে ফেলেন। ষষ্ঠ ওভারে স্পিনার হায়দারকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন এই ওপেনার। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটি তার চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি।
তবে পাওয়ার প্লেতে রেকর্ড গড়ে ফিফটি স্পর্শ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি তামিম। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রানে থামেন তিনি। দশম ওভারের প্রথম বলে মতিউল্লাহর মুঠোবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
এই ওপেনার আউট হওয়ার পর রানের গতি কিছুটা কমে বাংলাদেশের। আর ১০ ওভারে একশ স্পর্শ করে দলীয় সংগ্রহ।
দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটির ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন–নাজমুলও। সাবলীল ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক হিসেবে নিজের সর্বোচ্চ রানও ছাপিয়ে যান লিটন। তবে ইনিংসের ১৩তম ওভারে জাওয়াদউল্লাহকে ডিপ মিডউইকেটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ৩২ বলে ৪০ রানে ফেরেন টাইগার দলপতি।
এরপর ঝোড়ো ইনিংসের আভাস দিয়ে ৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন জাকের আলি অনিক। মাঝে ১৯ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৭ রানের ইনিংস সাজান সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শেষদিকে তাওহীদ হৃদয়ের ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস সফরকারীদের দুই শ ছাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।
আমিরাতের হয়ে ৪৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন জাওয়াদউল্লাহ। এছাড়া ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন অভিষিক্ত সগীর খান।