সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা পেছাচ্ছে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে  © ফাইল ফটো

আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় তিন মাস পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রতিশ্রুত এ সময়ের মধ্যে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট হওয়ায় এ পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রিট নিষ্পত্তি না হলে এবং করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। ফলে চলতি অর্থবছরের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সংশয় রয়েছে। এ পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনে যেসব তথ্যগত ভুল ছিল তাও ইতোমধ্যে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। গত ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভুল সংশোধনের সুযোগ পান প্রার্থীরা। নতুন করে আবার সে সুযোগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

ডিপিইর সহকারী পরিচালক আতিক বিন সাত্তার  গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আবেদনকারীর সংখ্যার ভিত্তিতে কয় ধাপে পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মোট শূন্যপদের চেয়ে তিনগুণ বেশি প্রার্থী পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন শেষ হলেও সংশোধন প্রক্রিয়া চলছে। দ্বিতীয় দফায়ও আবেদনের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ দেয়া হবে।’ চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানান তিনি।

ডিপিই সূত্র জানায়, আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল ডিপিই। তবে শীতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। একইসঙ্গে পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ বাতিল চেয়ে রিট করা হয়েছে। এর ফলে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না বলে তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি প্রক্রিয়া চলছে। তবে পরীক্ষার সূচি নির্ধারণ করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধাপে ধাপে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে প্রায় ১৩ লাখ আবেদন হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ২৪ নভেম্বর। অনলাইনে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৫ অক্টোবর।


সর্বশেষ সংবাদ