নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত

নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত
নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত  © ফাইল ছবি

৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রার্থীদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) আন্দোলনকারীদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রার্থীদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পিএসসিকে কিছুটা সময় দেয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক না হলে ফের কঠোর কর্মসূচির কথা জানান চাকরিপ্রার্থীরা।

এদিন বিপুল সংখ্যক প্রার্থীদের সমাগমে পিএসসির সামনে টানা ১৫তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচির দিনে মহাসমাবেশ করেছে ৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশী প্রার্থীরা। পিএসসির সামনের চত্বর এদিন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এসময় প্রার্থীদের প্রতিবাদী স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো পিএসসি প্রাঙ্গণ।

আন্দোলনকারীরা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, প্রার্থীদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পিএসসিকে কিছুটা সময় দেয়ার জন্য আপাতত অবস্থান কর্মসূচির বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রার্থীরা। তবে প্রার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রেক্ষিতে পিএসসি যদি বেকার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান প্রার্থীরা।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০ নভেম্বর পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান ও ০৪ নভেম্বর শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদসহ টানা ১৫তম দিনের কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এসব কর্মসূচি শেষেও পিএসসি থেকে কোন ধরনের ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।

আরও পড়ুন: ৪০তম নন-ক্যাডার প্রার্থীদের দাবি আইনগত ভাবে মানা সম্ভব নয়: পিএসসি

চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগে কোনো সমস্যা হয়নি। অনেকে নন-ক্যাডার থেকে চাকরি পেয়েছেন। আগের বছরগুলোয় নন-ক্যাডার নিয়োগে পিএসসি যে নিয়ম অনুসরণ করেছে, তাতে পিএসসি বেকার বান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়ম থেকে সরে এসে পিএসসি তরুণদের বেকারত্ব বাড়ানোর মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন এই চাকরিপ্রার্থী। সেজন্য ৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগের পদ্ধতি বহাল চান তারা।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যাও উল্লেখ থাকবে। তবে চলমান ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে কোন বিসিএসের সময় কোন শূন্য পদের চাহিদা এসেছে, তা পর্যালোচনা করে মেধার ভিত্তিতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।

এদিকে, আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি আইনগত ভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্বে যেভাবে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেটি আইনগতভাবে সঠিক হয়নি। কেননা প্রতিটি বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের পদসংখ্যা উল্লেখ করে দিতে বলে গেজেটে বলা হয়েছে। এতদিন সেই আইন অমান্য করা হয়েছে। তারা এই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না।

পিএসসি সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পিএসসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে জাতির অনেক আশা থাকে। আমরা সেই আশা পূরণে বদ্ধ পরিকর। কোনো অন্যায় কাজ পিএসসি প্রশ্রয় দিতে পারে না। আইনে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই নিয়োগ কার্যক্রম চলবে।


সর্বশেষ সংবাদ