চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ চলছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩৭ PM , আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১২:৪৯ PM
সরকারি চাকরিতে দেশের যুবকদের প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে জাতীয় মহাসমাবেশ করছে ‘চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম, বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন। পাশাপাশি তারা এই নিয়মকে ব্যাকডেটেড্(পুরোনো/অচল) দাবি করে তা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎও চান। শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এ সমাবেশ শুরু করে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে অবস্থান করার কথাও জানিয়েছেন। তাদের সাথে সমাবেশে সংহতি জনাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকরিপ্রার্থী ও যুবকরা যোগ দেবার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
সমাবেশের আয়োজকদের দাবি, শুধুমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য দিয়ে একটি কাঠামো বা ব্যবস্থা চলতে পারেনা। তাদের দাবি, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন বয়স পার হয় ২৬ এর আশেপাশে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের বিদ্যমান সেশনজট যেখানে আরও বেশী বয়স লেগে যাচ্ছে। করোনার বয়সজনিত ক্ষতি এই গ্রাফকে আরও ঊর্ধ্বগামী করেছে বলেও দাবি তাদের।
তারা পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কোন দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমায় ভারত- ৩৫/৪০ বছর (রাজ্যভেদে), নেপাল-৩৫ বছর, ভুটান-৩০ বছর, আফগানিস্তান-৬৫ বছর, শ্রীলংকা- ৩৫ বছর, পাকিস্তান-৩০ বছর, বাংলাদেশ-৩০ বছর। যা সর্বনিম্ন বলেও জানান তারা। একইসাথে, তাদের দাবি, বিশ্বে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ একটি স্ট্যান্ডার্ড মানদণ্ড। পাশাপাশি, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ করোনা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করেছে বলেও দাবি তাদের। তারা বলেন, আমরা সেই ১৯৯১ সাল থেকে ৩১ বছর ধরে এক অচলায়তনের মধ্যে আছি।
আরও পড়ুন: অভিজ্ঞতা ছাড়াই জেলা প্রকাশের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
তারা বলেন, অন্য কোন উপায় না থাকায় সারা বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষিত চাকরি প্রার্থী যুবক-যুবতীরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের দাবিতে আজকের এই মহাসমাবেশে অংশ নিচ্ছে। বিগত ১০ বছর ধরে চলে আসা এই গণ দাবি এখন বাস্তবায়ন না হলে এদেশের যুব প্রজন্মের সাথে এক ধরনের প্রহসন করা হবে। আমরা চাই এই মহাসমাবেশ চলাকালীন আমাদের একটি প্রতিনিধি দল যেন দল ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনানা সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পায়।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ্য করে তারা জানান, এটি আওয়ামী লীগ সরকারের একটি বড় প্রতিশ্রুতি ছিল দেশের যুবকদের জন্য। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তখন এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন; যা সবগুলো জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছিল। তাদরে দাবি, প্রধানমন্ত্রীর নিকট এর আগে খোলা চিঠি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের মাধ্যমে স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় এবার তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান।