এনসিটিবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ PM , আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ PM
পাঠ্যবই ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ মনিটরিং এবং বিতরণ কাজ ত্বরান্বিত করতে সব কর্মকর্তা-কর্মমচারীর সাপ্তাহিক ও নৈমিত্তিকসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করেছে এনসিটিবি। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এনসিটিবির সচিব শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌসের সই করা অফিস আদেশে সব ধরনের ছুটি বাতিলের এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের নিমিত্তে মনিটরিং কার্যক্রম চলমান। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিধায় বোর্ডে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর (সেসিপ প্রকল্পসহ) নৈমিত্তিক ও সাপ্তাহিক ছুটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।
এদিকে এনসিটিবি সূত্র জানা গেছে, বিনামূল্যের পাঠ্যবই এখন পর্যন্ত প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ছাপা হয়েছে। তবে ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা শুরুর প্রক্রিয়াগুলো এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। বেশকিছু বইয়ের এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
ফলে কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর নির্দিষ্ট টাইমলাইন জানাতে পারেনি এনসিটিবি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত লম্বা সময় নেয়ার কোনো অযৌক্তিকতা ছিল না। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব অংশীজন কাজ করলে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো না কাউকে।
পাঠ্যবই পরিমার্জন থেকে ছাপার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বডির সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী নতুন বই লেখন থেকে পরিমার্জনের কাজে সর্বোচ্চ ২০ কার্যদিবসের প্রয়োজন হয়। এরমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ২টি ফর্মাল ওয়ার্কশপ আয়োজন করে এনসিটিবি। প্রতিটি ওয়ার্কশপের জন্য ৫ দিন করে মোট ১০ কার্যদিবসের প্রয়োজন হয়। এরপরে যৌক্তিক মূল্যায়নের জন্য (ফর্মাল ওয়ার্কশপের কাজের মূল্যায়ন) আরও ৫ কার্যদিবস প্রয়োজন হয়। এর বাইরে ডিজাইন, বুক ফর্মেটের (প্রচ্ছদ এবং ইলাস্ট্রেশনের কাজ) জন্য ৫ কার্যদিবসের প্রয়োজন হয়।