বশেমুরকৃবি

নোবেল জয়ী আবিষ্কারসমূহ উদ্ভাবনী গবেষণা পরিকল্পনার জন্য সহায়ক: উপাচার্য

নোবেল পুরস্কার-২০২১ জয়ীদের আবিস্কার নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা
নোবেল পুরস্কার-২০২১ জয়ীদের আবিস্কার নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা  © সংগৃহীত

নোবেল জয়ী আবিষ্কারসমূহ ভবিষৎ উদ্ভাবনী গবেষণা পরিকল্পনার জন্য সহায়ক বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর উদ্যোগে ২০২১ সালে পদার্থবিদ্যা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয়ী আবিষ্কারসমূহকে তুলে ধরতে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া।

এসময় তিনি প্রফেসর তোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্বমানের গবেষণা ফলাফল এবং নোবেল পুরস্কার জয়ী আবিস্কার নিয়ে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার প্রবন্ধ উপস্থাপন উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধান অতিথির দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘মানব ইতিহাসের অনন্য এসব আবিস্কার নিয়ে আলোচনা আমাদের বিশ্বমানের উদ্ভাবনী গবেষণা পরিকল্পনা তৈরিতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

এতে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন আইবিজিই’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. তোফাজ্জল ইসলাম। তিনি ২০২১ সালে পদার্থবিদ্যা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানীদের আবিস্কারসমূহ তুলে ধরে এসব আবিস্কারের প্রায়োগিক দিক ও ভবিষ্যত গবেষণার সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি ২০২১ সালে আইবিজিই’র গবেষণা প্রকাশনা এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ অন্যান্য অসামান্য অর্জন এবং ২০২২ সালের গবেষণা পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন: 

প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইবিজিই'র পরিচালক প্রফেসর ড. আশরাফুল, প্রফেসর ড. আবিয়ার রহমান, ড. শাহ মোহাম্মদ নাইমুল ইসলাম, ড. দিপালী রাণী গুপ্তা, ড. টোটন ঘোষ, ড. নাজমুল হক ও ড. মোস্তাফিজ।

আলোচনা শেষে প্রফেসর ড. তোফাজ্জল ইসলামকে বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির আজীবন ফেলো নির্বাচিত হওয়ায় আইবিজিইর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য যে, গত বছর পৃথিবীর জলবায়ু মডেল, জলবায়ু পরিবর্তনের নিয়ামকসমূহ পরিমাপ, বিশ্বস্ততার সাথে বৈশ্বক উষ্ণায়নের ভবিষ্যদ্বাণী করা এবং ভৌত ব্যবস্থায় পরমাণু থেকে গ্রহ পর্যন্ত বিদ্যমান বিশৃংখলা ও অস্থিরতা পরিমাপের কৌশল আবিস্কারের জন্য প্রফেসর সিয়োকুরো মানাবে, ড. ক্লাউস হাসেলমান এবং প্রফেসর গিয়রগিও পিসিকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

আরও পড়ুন: 

ড. মানাবে এবং ড. হাসেলমান আজ থেকে  প্রায় ৫০ বছর পূর্বে বর্তমানে বহুল আলোচিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পদার্থবিদ্যার মৌলিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। অপরদিকে ড. পারিসি ভৌত ব্যবস্থায় পরমাণু থেকে গ্রহ পর্যন্ত বিদ্যমান বিশৃংখলা ও অস্থিরতা পরিমাপের কৌশল আবিস্কার করেন। তাঁদের আবিস্কার বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জ্ঞানের প্রসার এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘাত মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় খাপখাওয়ানোর কৌশল উদ্ভাবনে নিয়ামক ভূমিকা পালন করছে।

অপরপক্ষে, আমরা কীভাবে স্পর্শ (টাচ) এবং ঝাল বা তাপমাত্রাজনিত ব্যথা অনুভব করি তার আণবিক কৌশল আবিস্কার করেন বিজ্ঞানী আর্ডেম পাটাপাউটিয়ান এবং ডেভিড জুলিয়াস। তাঁদের যুগান্তকারী আবিস্কারসমূহ চিকিৎসা বিজ্ঞানে নানারকম ব্যথা উপশম, রক্ত চাপ, শ্বসন, মূত্রত্যাগজনিত রোগ ইত্যাদি চিকিৎসায় সহায়ক হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ