শেকৃবিতে রাতে র্যাগিং হাতেনাতে ধরলেন উপাচার্য, দেখা মেলেনি প্রক্টর-ছাত্র পরামর্শকের
- শেকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৬ AM , আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০ AM

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আবাসিক হলে গভীর রাতে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে৷ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। ৮২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দক্ষিণাঞ্চলের একাংশ ৮৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একাংশকে র্যাগিং দিচ্ছিল বলে জানা গেছে।
এ সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শককে ফোন করলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। এ সময় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।
উপাচার্যের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবুল বাশার। বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করেও তাৎক্ষনিক প্রক্টর মো. আরফান আলি এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হকের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেকৃবি শাখার আহবায়ক আসাদুল্লাহ বলেন, ‘জুনিয়ররা নির্দিষ্ট দলের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে না গেলে আমাদের কাছে র্যাগিং এবং সিট বাতিলের হুমকির অভিযোগ আসছে। ২৩ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী এসব র্যাগিংয়ের ঘটনায় যুক্ত। আগের দিনও রাত ৪টা পর্যন্ত এ ধরনের র্যাগিং মিটিং চলেছে। এ জন্য আজকের ঘটনা জানতে পেরে প্রক্টর, প্রভোস্ট, ছাত্র পরামর্শকদের কলে না পেয়ে উপাচার্যকে ফোন দিই।’
আরো পড়ুন: চালক-হেল্পারের বিরুদ্ধে মামলা করবেন না ঢাবি শিক্ষক, অভিযুক্তরা ক্ষমা চাইলেন পা ধরে
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে ফোন করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানায়। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি অপেক্ষা না করে ট্রেজারারকে জানিয়ে দ্রুত বের হয়ে আসি। নজরুল হলে এসে দেখি, ২৩ ও ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রাত ২টায় মিটিং করছে। আমি তাদের রুমে পাঠিয়ে দিই। এরপর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হলে গিয়ে দেখি সেখানে কেউ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটি রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাগিং কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ র্যাগিংমুক্ত রাখতে চাই।’