মেডিকেল ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, সেকেন্ড টাইমে কাটা যাবে ৩ ও ৬ নম্বর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ AM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ PM
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার নীতিমাল প্রকাশ করা হয়েছে। ‘মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫’ নামে নীতিমালায় ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা, নিয়মসহ বিস্তারিত জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি)। এবার সেকেন্ড টাইমে আগের এইচএসসি ও সমমান পাস প্রার্থীদের ৩ এবং মেডিকেলে ভর্তি প্রার্থীদের ৬ নম্বর কেটে মেধা তালিকা করা হবে।
বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি ও বিদেশে সমতুল্য কোর্সে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের অনুমতির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
প্রার্থীর যোগ্যতা:
আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হইবে। কেবল সরকার কর্তৃক বিদেশিদের জন্য সংরক্ষিত সরকারি আসনে এবং বিদেশিদের জন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটে নির্ধারিত কোটায় বিদেশি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। দেশি প্রার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে। দুইটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ পয়েন্ট হতে হবে।
দেশি প্রার্থীকে এসএসসি অথবা ‘ও’ লেভেল অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি অথবা ‘এ’ লেভেল অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ অবশ্যই পদার্থ বিজ্ঞান (Physics), রসায়ন (Chemistry) ও জীববিজ্ঞান (Biology) পাঠ্য থাকতে হবে এবং জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম জিপিএ ৪.০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ বিদেশি প্রার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি/‘এ’লেভেল বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ স্কেলে সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৯.০০ (নয়) এবং জীববিজ্ঞানে (Biology) জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট- এ ভর্তির জন্য বিদেশি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা যে দেশে এসএসসি পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা নাই সে দেশের ক্ষেত্রে দশম শ্রেণি/‘ও’ লেভেল এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৭.০০ (সাত) এবং জীববিজ্ঞানে (Biology) জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ সকল উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা দুইটিতে মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ পয়েন্ট হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট এর কম থাকলে আবেদনের জন্যে অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে। এক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
আবেদনকারী যে শিক্ষাবর্ষের জন্য মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিবে তাহাকে সর্বশেষ সেই শিক্ষাবর্ষে বা তৎপূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনকারীকে সর্বশেষ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিত এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার পূর্ববর্তী ৩ (তিন) শিক্ষাবর্ষের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
যেমন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২৩ সাল অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি/‘এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০২১ সালের পূর্বে এসএসসি/‘ও' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। ‘ও’লেভেল/’এ’লেভেল অথবা বিদেশি শিক্ষা ব্যবস্থায় সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক তাহাদের নম্বরপত্রসমূহ সমতাকরণ করতে হবে।
ভর্তির জন্য প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া:
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করা হবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। সদ্য এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ এর সহিত এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
তবে পূর্ববর্তী বৎসরের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর হতে ৩ (তিন) নম্বর এবং পূর্ববর্তী বৎসরের সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তিকৃত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর হতে ০৬ (ছয়) নম্বর কেটে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। যেমন: সদ্য উত্তীর্ণ প্রার্থী এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস ২০২৪ সাল এবং এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশ ২০২২ সাল।
পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ প্রার্থী: এসএসসি/সমমান পরীক্ষা ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাসের পার্থক্য ৩ বছর (এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশ ২০২১ সাল ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশ ২০২৪ সাল)। এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস ২০২৩ সাল এবং এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস ২০২১ সাল।
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য একই সঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে এমবিবিএস কোর্সে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার এক মাস পর সরকারি ও বেসরকারি সকল ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য একই সঙ্গে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বিডিএস কোর্সে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইংরেজি মাধ্যমে উত্তীর্ণ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ টি প্রশ্নের (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট ১০০ (একশত) নম্বরের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন যথাক্রমে জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান ১০ হবে। পরীক্ষার সময়কাল এক) ঘণ্টা হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম প্রাপ্তরা দেশে ভর্তি ও বিদেশে এমবিবিএস/বিডিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য ‘অকৃতকার্য' বিবেচিত হবে।
প্রবেশপত্রে আবেদনকারীর ছবির জলছাপ সন্নিবেশ করতে হবে। পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষার হলে বলপয়েন্ট ব্যতীত অন্য কোনো কলম, পেন্সিল, ঘড়ি অথবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনিতে পারবেন না। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী (ইনভেজিলেটর, শিক্ষক, পরিদর্শন টিমের সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক ইত্যাদি) পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র/ভেন্যুর দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র/ভেন্যু প্রধান কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে অফিস কক্ষে/ভর্তি পরীক্ষার কন্ট্রোল রুমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারিবেন।
কোনো অবস্থাতেই কেউ পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারিবেন না। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে সরকারি/বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিটসমূহের যে সংখ্যক আসন অনুমোদিত থাকবে সেই সংখ্যক আসনে প্রার্থীদের মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অব্যবহিত পরের দিন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এর জন্য সম্পূরক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। শুধুমাত্র সরকার কর্তৃক স্বীকৃত মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট-এ ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
মেধা তালিকা, প্রার্থী নির্বাচন ও আবেদন গ্রহণ:
শুধুমাত্র লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এর পাশাপাশি সরকার অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজে/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য জাতীয় মেধা তালিকা (বিশেষ কোটা যদি থাকে উল্লেখসহ) প্রকাশ করা হইবে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বর এর নীচে প্রাপ্ত প্রার্থীরা কোনোভাবেই ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে না।
অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন দাখিলের সময় প্রার্থীকে সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এর প্রযোজ্য ক্ষেত্র অনুযায়ী পছন্দক্রম বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ কতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ হইতে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এর ভর্তি প্রক্রিয়া (তৃতীয় অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) সম্পন্ন করতে হবে। তারপর বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ভর্তি কার্যক্রমের একটি সিডিউল প্রস্তুত করে তা একাধিক জাতীয় দৈনিকে এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করবে।
নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত জাতীয় মেধা তালিকার কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্য হইতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তিচ্ছুদের আবেদন পুনরায় অনলাইনে গ্রহণ করা হবে। পুনরায় অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় সরকার স্বীকৃত তালিকা হতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এর পছন্দক্রম অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ শিক্ষার্থী নির্বাচন:
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য অনলাইনে পুনরায় আবেদন দাখিলের নির্ধারিত সময়ের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রার্থীর মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রার্থী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত হয়েছেন তা প্রার্থীকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানাইয়া দেওয়া হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সর্বোচ্চ ৫ দিন) নির্বাচিত প্রার্থীকে নিশ্চিত করতে হবে যে তিনি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে সম্মত আছেন।
প্রথমবার সম্মতি নিশ্চিতকরণের পরে শূন্য থাকা আসনসমূহে অপেক্ষমাণদের মধ্য হতে আবেদনের সময়ে দেওয়া মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় বারের মতো শিক্ষার্থী নির্বাচন করিয়া তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং পুনরায় এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে। ২য় বারে নির্বাচিত প্রার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সর্বোচ্চ ৫ দিন) নিশ্চিত করিতে হবে যে তিনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে সম্মত আছেন। ভর্তি হতে সম্মত প্রার্থীদের (১ম ও ২য় বারে) মধ্য হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানওয়ারী নির্বাচিত প্রার্থীদের সংযুক্ত তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ১ম ও ২য় বারে নির্বাচিত প্রার্থীদের ভর্তির শেষ তারিখ ওয়েবসাইটে জানাইয়া দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: মেডিকেলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
নির্বাচিত প্রার্থীগণ ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হলে অনলাইন হতে ইউনিক আইডি সংগ্রহ করবেন এবং সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফি প্রদান করিয়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন। এইক্ষেত্রে ভর্তির সময় প্রাথমিকভাবে ১ (এক) লাখ টাকা প্রদান করবেন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি এর অবশিষ্ট অর্থ ঐচ্ছিক মাইগ্রেশন পরবর্তী সময়ে প্রদান করবেন। ঐচ্ছিক মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ায় কোনো প্রার্থী অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন বরাদ্দ প্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রার্থী কর্তৃক দাখিলকৃত মূল সনদপত্রের সহিত উল্লিখিত ১ (এক) লাখ টাকা মাইগ্রেশনকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চেকের মাধ্যমে স্থানান্তর করবেন।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে তা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা অতিক্রান্ত হবার পর যদি কোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ আসন শূন্য থাকে সেই সব শূন্য আসন পূরণের লক্ষ্যে একই প্রক্রিয়ায় অপেক্ষমাণ তালিকা হতে (যদি থাকে) ৩য় বার পর্যন্ত শিক্ষার্থী নির্বাচন করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই সরকার নির্ধারিত ক্লাস শুরুর তারিখের পরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করলে তা অনুমোদন সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করিতে হইবে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়াদির দায় দায়িত্ব স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ/স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বহন করবে না। কোনো শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে কোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ ডেন্টাল ইউনিটের আসন সংখ্যা সরকার কর্তৃক যেরূপ অনুমোদিত থাকবে উক্ত শিক্ষাবর্ষে কেবল সমসংখ্যক আসনেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখের পরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হলে অথবা নতুন মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট অনুমোদিত হলে বর্ধিত আসনে অথবা নতুন অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
বিস্তারিত নীতিমালা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।