মেডিকেলে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ছে না
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২২, ১০:৩৩ AM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২২, ১২:৩০ PM
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি আবেদনের বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, নীতিমালা তৈরি হয়ে যাওয়ায় এটি সংশোধনের সুযোগ নেই। আগামী ১০ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে আবেদনের সময়সীমা শেষ হবে।
জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মেডিকেলের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা প্রার্থীরা আবেদনের সময় কয়েকদিন বাড়ানোর দাবি তোলেন। আগামী ১৩ মার্চ এইচএসসি’র পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মেডিকেলে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়েই আবেদনের সময় শেষ হবে।
এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে চলতি বছরের মেডিকেল ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। তবে টাকা জমা দিয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৮৭৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেন্টালের ভর্তি আবেদন শুরু ১৩ মার্চ
মেডিকেল ভর্তির বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, আগামী ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। আর ১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশি নাগরিক যারা বিদেশি শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের সার্টিফিকেট সমতাকরণ করতে হবে। এজন্য দুই হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) বরাবর আবেদন করতে হবে।
পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় এইচএসসি পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
যারা ২০২০ বা ২০২১ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর জন্য ৭৫ নম্বর এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর জন্য ১২৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: বুয়েটের পর প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটির প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বরের (মোট ১০০) প্রশ্ন থাকবে।
এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।