এবার রাবি ভর্তিতে বাতিল হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ PM , আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ১৬ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। চূড়ান্ত আবেদন ২০ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত করা যাবে। তবে এবার ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।
তিনি জানান, গত ৫ নভেম্বর ভর্তি উপকমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোটা বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় ডিনদের নিয়ে একটি সাবকমিটি করেছিলেন। সেই সাবকমিটি আজ অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির কাছে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করে সন্তান-সন্ততিদের কোটা রাখার বিষয়ে সুপারিশ করে। তাদের সেই সুপারিশ গ্রহণ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা তিন শতাংশ করা এবং মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বাকিসব কোটায় আগের নিয়ম বহাল থাকবে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, কেবল ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফএ (প্রাক), বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভকেশনাল), A লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় এইচএসসি সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।
আরো বলা হয়েছে, বিএফএ (প্রাক) ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর ফলাফল এখনও সনাতন পদ্ধতিতে হওয়ায় তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে, তবে তাদের মার্কশিট থাকতে হবে। কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা শিক্ষার্থীরাও সংশ্লিষ্ট ইউনিটে আবেদন করতে পারবে তবে তাদের প্রাপ্ত জিপিএ ৫.০০ স্কেলে নির্ধারিত হবে।
মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা:
মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ -সহ মোট জিপিএ ৭.০০ পেতে হবে।
বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা:
বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ -সহ মোট জিপিএ ৭.০০ পেতে হবে।
বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা:
বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ -সহ মোট জিপিএ ৮.০০ পেতে হবে।
জিসিই লেভেল পরীক্ষায় ৫টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং উভয় লেভেলে মোট ৭টি বিষয়ের মধ্যে ৪টি বিষয়ে কমপক্ষে B গ্রেড এবং ৩টি বিষয়ে কমপক্ষে C গ্রেড পেতে হবে। O লেভেল, A লেভেল এবং ইংলিশ ভার্সন (ন্যাশনাল কারিকুলাম) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের প্রশ্ন প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হবে। ইংরেজি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদনকালে অবশ্যই অনলাইনে ইংরেজি প্রশ্নপত্রের জন্য অতিরিক্ত ফর্ম পূরণ করতে হবে। অন্যথায় ইংরেজি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হবে না।
প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫ টাকা। চূড়ান্ত আবেদন ফি 'বি' ইউনিটের (বাণিজ্য) জন্য ১১০০ টাকা, এবং 'এ' ইউনিট (মানবিক) ও 'সি' ইউনিটের চূড়ান্ত আবেদন ফি ১৩২০ টাকা।