প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

রিটের পেছনে আমার কোনো ভূমিকা নেই: জাবি কোষাধ্যক্ষ

অধ্যাপক রাশেদা আখতার
অধ্যাপক রাশেদা আখতার  © ফাইল ছবি

গত ৬ আগস্ট দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস ডটকমে ‘জাবি ভিসি প্যানেল নির্বাচন: রিটের নেপথ্যে কোষাধ্যক্ষের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ' শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার। এতে রিটের পেছনে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রতিবাদলিপিতে তিনি দাবি করেন, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘সংবাদের শুরুতেই দাবি করা হয়েছে, ‘নির্বাচন বানচাল করার অভিযোগ উঠেছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে’। এ বিষয়ে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই , প্রতিবেদক এই মন্তব্যটি পরিবেশন করার ক্ষেত্রে কোন সূত্র উল্লেখ করেননি এবং অভিযোগ আকারে পরিবেশন করেছেন। তাই আমি মনে করছি, আমার বিরুদ্ধে এটি প্রতিবেদকের নিজস্ব মনগড়া মিথ্যা মন্তব্য। প্রতিবেদনের কোথাও কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা কোন অংশীজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগের কথা বলা হয়নি । ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবার পর থেকে আমি কখনই নির্বাচনের বিপক্ষে কোন মন্তব্য করিনি ।’

আরও পড়ুন: নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের পর চবি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

প্রতিবালিপিতে আরো বলা হয়, ‘‘সংবাদের আরেকটি অংশে দাবি করা হয়েছে, ‘রিটের নেপথ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারের সহযোগিতার প্রমাণ মিলেছে। রিট পরিশিষ্ট নথি ‘ ডি’তে একটি গোপনীয় চিঠি সংযুক্ত করা হয়েছে। এই চিঠিটি জাবি রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে প্রেরণ করেন।’ রিটে আমাকে প্রেরণ করা চিঠির কথা উল্লেখ থাকলেই রিটের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয় না । কেননা রিট আমি করিনি এবং রিটের পক্ষে কোথাও আমার নাম এবং কোনরকম সংশ্লিষ্টতা নেই । রিট সম্পর্কে আমি কোনভাবেই অবগত নই। আমার কাছে রেজিস্ট্রারের দেওয়া চিঠিটি খামবদ্ধ অবস্থায় ছিল এবং পত্রিকায় নিউজ হবার পর আমি সাংবাদিকদের সামনে সেই চিঠিটি খুলি।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য 
প্রতিবাদকারী অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের সাথে  প্রতিবেদকের বিন্দুমাত্র স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন বিষয় জড়িত নেই। যথাযথ তথ্যসূত্র উপস্থাপন করে  এবং সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদি হাতে রেখেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ একাধিক অংশীজনের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী,  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের একাধিক নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ জড়িত।’ বক্তব্যগুলো সাংবাদিকতার কৌশলগত কারণে ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন’ আকারে সংবাদে দেওয়া হয়েছে। 

এসব বক্তব্য ও দলিল প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত। এমনকি প্রতিবেদন প্রকাশের দিন কোষাধ্যক্ষ মহোদয়কে দিনের বিভিন্ন সময় ৫ বার মুঠোফোনে কল ও ১ বার মেসেজ করা হয়েছে। কিন্তু ওনার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনা করা সম্ভব হয়নি। আর রিটে নাম সুস্পষ্টভাবে শুধু উল্লেখ করাই হয়নি, প্রতিবাদীকে পাঠানো চিঠিও সংযুক্ত করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence